বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী কার্গো পরিবহণে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বলছে আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউকে এবং ইইউ-এর নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের নিরাপত্তা স্ক্যানার বসানো হবে। কেবল তখনই আকাশ পথে সরাসরি পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
নিরাপত্তার কথা বলে গত বছর হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি কার্গো পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছিলো যুক্তরাজ্য। এর পরপরই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে লন্ডনের রেড লাইন কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগ দেয় সিভিল এভিয়েশন।
৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের ২ বছর মেয়াদী সেই চুক্তি শেষ হবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ। প্রায় দেড় বছর পার হলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি যুক্তরাজ্য। এবার গত ১ জুন কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাজ্য ও ইইউ এর নিষেধাজ্ঞা মাথার নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেছে সিভিল এভিয়েশন। আধুনিক বিশ্বের বিমান-বন্দরগুলোর মতোই এক্সপ্লুসিভ ডিটেকটিভ সিস্টেম ইডিএস স্ক্যানিংসহ নিরাপত্তামূলক সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আর এসব কিছুর মধ্যেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে সেফটি সিকিউরিটি উইক।
বিমান উড্ডয়ন, অবতরণ ও পার্কিংয়ের জন্য নিরাপত্তা ব্যাহত হয় এমন সব কার্যক্রম চিহ্নিত করে যথোপযোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে সিভিল এভিয়েশন।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: