বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে নিউজিল্যান্ড। এপর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে দুদল পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ১০০ শতাংশ জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ কিউইদের।
বুধবার রক্তচাপ বাড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে, দুটিতেই জিতল কেন উইলিয়ামসনের দল।
অন্যদিকে, চলতি বিশ্বকাপ অভিযান সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করেছিল বাংলার বাঘেরা। প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারানোর প্রধান কারিগর ছিলেন সাকিব আল হাসান। বোলিং বিভাগ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় একা লড়লেন তিনি। ব্যাটিংয়ে যোগ্য সঙ্গের অভাব স্পষ্ট।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার থেকে শুরু করে লোয়ারঅর্ডারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন পর্যন্ত, ছয়জন ব্যাটসম্যান সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন। ফলে একসময় বড় রানের ইঙ্গিত দেয়া বাংলাদেশ চার বল বাকী থাকতে অলআউট হয় ২৪৪ রানে।
শনিবার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ইয়ন মরগানের দলের বিপক্ষে ম্যাচটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক এটিও বললেন, ব্যাটিংটা ঠিকঠাক করতে পারলে একটা ভালো ম্যাচই হতে পারে সেই লড়াই।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও দাঁতে দাঁত চেপে যে লড়াই করেছে দল, সেই সাহসী লড়াই থেকে পাওয়া রসদ নিয়েই ইংলিশদের বিপক্ষে নামতে চান মাশরাফী। কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাশ বললেন, ওই ম্যাচটা তাদের জন্য সহজ হবে না, ‘আমি মনে করি ইংল্যান্ড টুর্নামেন্টের অন্যতম বড় দল। এটা সহজ হবে না। আমরা যদি আমাদের সম্ভাব্য সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তবে কী হবে আপনি কখনোই জানেন না।’
হারলেও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক দিক পেয়েছেন বলেও মনে করেন টাইগার সেনাপতি, ‘আমি মনে করি না, আজ (বুধবার) আমরা একেবারেই খারাপ খেলেছি। এটাই আসলে ইতিবাচক দিক। ওভালের উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে লড়াই করা যে কঠিন সেটা সবাই জানে। তবু আমরা তো অনেক কাছাকাছি গিয়েছিলাম।’
আগের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতে যারা চমকে দিয়েছিলেন, তারাই ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য হারের মুখ দেখল। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরাই দলকে ভরসা দিয়েছিলেন। জয়ের পেছনে অবদান ছিল মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের। কিন্তু কিউইদের বিপক্ষে প্রায় সকলেই সেট হয়ে আউট হয়েছেন খারাপ শট খেলে।
শুরুতেই সৌম্য সরকার (২৫) ফিরে যান। অন্য ওপেনার তামিম ইকবালও (২৪) বেশিক্ষণ থাকেননি। তিনে নামা সাকিব খেলা ধরে নেন। ৬৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে মুশফিকুরের জুটিটা এদিনও তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু একটি সিঙ্গেল নেয়ার সময় সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মুশফিক।
গ্র্যান্ডহোমের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে না ফিরলে হয়তো সেঞ্চুরি করতে পারতেন সাকিব। তিনি ফিরতেই ধস নামে। মিঠুন (২৬), মাহমুদুল্লাহ (২০), মোসাদ্দেকরা (১১) রান পাননি। শেষদিকে কিছুটা লড়েন সইফউদ্দিন (২৯)।
মাশরাফী কথায়ও উঠে এসেছে এইসব প্রসঙ্গ। অধিনায়ক বললেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় আমরা জুটি গড়ার রাস্তা তৈরি করেছিলাম, কিন্তু সেটা সামনে টেনে নিতে পারিনি। আমরা যদি পরের ম্যাচে সেটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে সেটা একটা ভালো ম্যাচই হবে।’