ইংল্যান্ডের যুবাদের হারিয়ে আরও একবার যুব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এটি ভারতের পঞ্চম শিরোপা জয়।
অ্যান্টিগায় শনিবার ফাইনালে ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারতের অনুর্ধ্ব-১৯ দল। ৩৫ রান ও ৫ উইকেটের অনবদ্য অবদানের জন্য ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রাজ বাওয়া।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড যুবারা। ৪ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ড অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন রবি কুমার।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই জ্যাকব বেথেলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এ পেসার। চতুর্থ ওভারে টম প্রিস্টকে ফেরান শুন্য রানে। ২৭ রানে থাকা জর্জ থমাসকে আউট করেন বাওয়া।
১৩ তম ওভারের শেষ দুই বলে উইলিয়াম লাক্সটন ও জর্জ বেলকেও সাঁঝঘরে ফেরান বাওয়া। ব্যক্তিগত ১০ রানে বাওয়ার চতুর্থ শিকার হয়ে রেহানের বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের দলীয় স্কোর তখন ৬১।
তবে উইকেটের এক পাশে সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, আরেক পাশ আগলে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন জেমস রিউ। অষ্টম উইকেটে জেমস সেলসকে নিয়ে গড়েন ৯৩ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ৯৫ রানে রবির বলে রিউ যখন আউট হলেন ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ১৮৪। এরপর আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ১৮৯ রানে থামে ইংল্যান্ড যুবাদের ইনিংসে। ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সেলস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ভারত। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করতেই জশুয়া বয়ডেনের শিকার হয়ে সাঁঝঘরে ফেরেন রঘুবংশী। দ্বিতীয় উইকেটে দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন শাইক রশিদ ও হারানুর সিং।
ব্যক্তিগত ২১ রানে হারানুর আউট হন আসপিনওয়ালের বলে। ফিফটি তুলে নিয়ে শাইক আউট হন দলীয় ৯৫ রানে সেলসের বলে। তবে স্কোরবোর্ডে ঠিক দুই রান যোগ করতেই অধিনায়ক যশ ঢালের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
কিন্তু পঞ্চম উইকেটে নিশান্ত সিন্ধু ও বাওয়া ৬৭ রানের জুটি গড়ে সামলে নেন সে চাপ। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে বয়ডেনের শিকার হয়ে বাওয়া আউট হলেও সিন্ধু মাঠ ছাড়েন ভারতকে শিরোপা জিতিয়েই। ৫৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।