ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচদিনের কঠিন লড়াই থামল সহজ সমাধানে। ক্যারিবিয়ান মুলুকে ইংলিশদের এগোনো-পেছানোর ইদুর খেলায় শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল দু’দলকে।
অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সাদা পোশাকের লড়াইয়ের ফল যে ‘ড্র’ হচ্ছে, তা অনেকটা অনুমিত ছিল। চতুর্থ দিনে ইংলিশদের স্লথ ব্যাটিংয়ের পর বেরসিক বৃষ্টির বাধা এবং শেষদিনে নক্রুমাহ বোনার-জেসন হোল্ডারের দৃঢ়তায় ফল এসেছে সহজেই।
দু’দলের দারুণ লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় সিরিজে এগোচ্ছে না কেউই। তিন ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচের লড়াইয়ে ১৬ মার্চ নামবে দুদল। ব্রিজটাউনের ম্যাচ শেষে সেন্ট জর্জে তৃতীয় ম্যাচে নামবে দু’দল।
ক্যারিবিয়ান মুলুকে প্রথম ইনিংসে জাইডেন সেলস-হোল্ডারের তোপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় ইংলিশদের স্কোরবোর্ড। সেখানে দারুণ এক শতকে দলকে রক্ষা করে জনি বেয়ারস্টো। উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে তিনশ ছাড়ায় ইংলিশদের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়ের ফিফটিতে দারুণ শুরু পায় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু অপর পাশে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিক দল। দল যখন বিপর্যয়ে তখন তৃতীয় দিনে ইনিংস টেনে নিয়ে যান নক্রুমাহ বুমরাহ। দুর্দান্ত শতক করে দলকে ৬৪ রানের লিডও এনে দেন ডানহাতি ব্যাটার। বোনার থামলে ৩৭৫ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজদের প্রথম ইনিংস।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে শুরুর পর দারুণভাবে ঘুরে দাড়ায় ইংলিশরা। বেশ কিছুদিন ধরে চলা ইংল্যান্ড দেখে টপ অর্ডারে রানের ফোয়ারা। অ্যালেক্স লিস ৬ রান করে ফিরলে জ্যাক ক্রাউলিকে নিয়ে ১৯৩ রানের বড় জুটি গড়েন জো রুট।
চতুর্থ দিনেই নিজের দ্বিতীয় টেস্ট শতক পূরণ করেন ক্রাউলি। পঞ্চম দিনে ১১৭ রানের সঙ্গে চার রান যোগ করেই ফেরেন তিনি। ইংলিশদের অধিনায়ক রুটও পেয়ে যান শতক। শেষে ৩৪৯ রানের মাথায় ৬ উ্ইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ২৮৬ রানের লক্ষ্য পায় ক্যারিবিয়ানরা।
পঞ্চম দিনে শেষ লড়াইটা চালানোর চেষ্টা করে ইংলিশরা। ব্রাথওয়ে-ক্যাম্পবেলের দারুণ শুরুর পর আঘাত হানেন জ্যাক লিচ। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্রাথওয়েকে ৩৩ রানে ফেরান বেন স্টোকস। ৫৯-৬৭ রানে অর্থাৎ আট রানের মাঝে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
দলের বিপযর্য়ে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখান নক্রুমাহ বোনার। জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ৮০ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটিতে নিশ্চিত করে ড্র। প্রথম ইনিংসে শতক ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরাও হন ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।