বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে কাশেম বিন আবুবাকার একটি আলোচিত নাম। বিদেশী গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করার পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে কবি ডাল্টন সৌভাত হীরা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ‘কাশেম বিন আবুবাকার এখন লেখাটেখা শুরু করলে আরবান মধ্যবিত্তের চাহিদার ঝামেলায় তারে অন্তত পড়তে হত বলে মনে হয় না। সমস্যাটা বাঁধায় ছিল এইট্টিজের কিছুটা নাক উঁচু মধ্যবিত্ত যারা তখন আবার কিছুটা সাংস্কৃতিক বাতাবরণকে তাদের মধ্যবিত্ত তকমা টিকিয়ে রাখার অপরিহার্য মানছিলেন, এমনকি আল মাহমুদরে তারা নিয়েছেন অনেক পরে, আর আগে আবুল হাসান, হেলাল হাফিজ, কাদরী বা শামসুর রাহমানকে নেয়া তাদের জন্য সুবিধাজনক ছিল।
‘হুমায়ুন আহমদকে তাদের নেয়াটা আসলে লেট এইট্টিজে, সেখানে বিটিভির নাটকের আশীর্বাদও ছিল। এই নাক উঁচু ভাব, এক অর্থে আমার কাছে ভালো লাগছে, তখন পরিস্থিতি তাদের এই সৃষ্টি হওয়া এলিটিসিজমের পক্ষে অনুকুল ছিল, অন্তত কিছুটা মেকি স্যেকুলারাজিম হইলেও স্যেকুলারিজম তাদের কালচারাল ক্লাশ হওয়ার জন্যই অপরিহার্য ছিল।
‘এখন ব্যাপারটা উল্টো, এই রুচিমান মধ্যবিত্তের হাঁটাচলা সীমাবদ্ধ এখন, সবচেয়ে আশঙ্কাজনকভাবে সেই নাক উঁচু ভাবটা, এমনকি ধরেন শুক্রবারে নাটক সরণিতে নাটক দেখতে যাওয়ার শহুরে রুচিও অনুপস্থিত কিছুটা, সে জায়গায় পপ্যুলার কঞ্জুমারিজম ধারণার সাথে রাজনীতি ইসলামের মিশেলে তাদের রূচি নায়লা নাইম ও রমজানের শুভেচ্ছা দুইটাই নেওয়াচ্ছে।
‘কাশেম বিন আবুবাকার ও পরোক্ষভাবে তাইই, ধর্ম ও পপ্যুলারিস্ট ডিজায়ারের ককটেল।তবে তার শ্রেণীটা ছিল আশির অন্ত:প্রান্ত গ্রামীন ও মফস্বলী অংশ।এখন হইলে অতি সহজে তিনি হিজাব ও পার্টি কালচারের উদ্ভট সুসমাচারে ঢুকে যেতে পারতেন বলেই ধারণা করি।অন্তত তাকে নিতে রেজিস্টান্স ঘোষণা করা সেই মিডলক্লাস দুর্লভ-ই, বা তাদেরকে পপুলার মুসলমান বাঙালির ধারণাগত চিন্তার শত্রু বিবেচনা করার প্রয়াস ত আছেই।
‘তবে একটা জিনিস করা যাইতে পারে, বকার সাহেবের বই কিছু ইংরেজিতে অনুবাদ করলে তা আমাদের হিজাব মাই রাইট নিও এলিটের মধ্যে সাদরে গ্রহণীয় হবে বলেই মনে হয়।অন্তত, সচেতন সাহিত্য তাকে ন্যায় নাই, এরকম বলার সুযোগ থাকতেছে না।’