চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘আ.লীগ-বিএনপির মদদেই ইউপি নির্বাচনে জামায়াত শিবির প্রার্থী’

আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মদদে ইউপি নির্বাচনে জামায়াত শিবির প্রার্থী হবার সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির। নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের উপর হামলাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জামায়াত- শিবির করা কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। নির্বাচনী এলাকা থেকে দায়ী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি করে দেবার জন্য সিইসির প্রতি অনুরোধ তাদের।

বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। দলীয় প্রতীকে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ৪ দফা নির্বাচনে সহিংসতায় মারা গেছে ৮০ জন ব্যক্তি, আহত হয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক এর উপরে। এমনকি বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর বিভিন্ন হামলায় নির্বাচনী আতঙ্কে দেশত্যাগে বাধ্য হবার ঘটনাও ঘটেছে। পরবর্তী দুধাপের নির্বাচনে এধরণের ঘটনা এড়াতে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পরে তারা জানান বিভিন্ন বড় বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে জামায়াত শিবির প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকায় তারা হামলা চালাচ্ছে।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সরকার এদের নানান জায়গায় মদদ দিয়েছে, তাদের নমিনেশন দিয়েছে। শাহীন চেয়্যারম্যানতো আগে আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী ছিলো। পরে স্থানীয় প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। সেজন্য স্থানীয়দের আমরা বলছি যখনই এধনের ঘটনা দেখা যাবে তখনেই যেন তীব্রভাবে প্রতিবাদ করা হয়। সে যে দলেরই হোক, কোনো সন্ত্রাসীকে নমিনেশন দিবে, জামায়াতের কাউকে নমিনেশন দিবে সেটা কখনো হতে পারে না। জামায়াত এখন বিএনপিতে ঢুকছে, আওয়ামী লীগে ঢুকছে। এই ব্যাপারে যেন এসব বড় দল সতর্ক থাকে সেই কথাই আমরা বার বার বলতে চাই।

তবে সংখ্যালঘু হামলাসহ নির্বাচনী সহিংসতায় প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা অনেক স্বাধীনতা বিরোধীরাও আছে বলে মন্তব্য তাদের। ঐসব কর্মকর্তাদের খুঁজে বদলী করার জন্য সিইসির কাছে অনুরোধ জানান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, দলে কেউ আসতে চাইলেই তাকে নিয়ে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কারণ ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীরা আওয়ামী লীগে ঢুকেই দলের বদনাম করছে। এই ব্যাপারে অবশ্যই আওয়ামী লাগকে সাবধান হতে হবে।

শেষ দফার নির্বাচনে বিজিবির পাশাপাশি সীমিত আকারে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি তাদের।