সরকারদলীয় প্রার্থীদেরকে জেতাতে নির্বাচনী তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গত দু’তিন দিনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা খুলনা-গাজীপুরের সন্ত্রাসের আবহে নতুন মডেলের ভোট জালিয়াতির আসল রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে রাতদিন গণগ্রেপ্তার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন যতোই এগিয়ে আসছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অভিযানও বাড়ছে। ক্ষমতাসীন দল বেআইনীভাবে জয়ী হতে চাচ্ছে বলেই গণগ্রেপ্তারসহ এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
রিজভী আরো অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে। গত পরশু দিন থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দেয়া তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভোটারদেরকে ভয় পাইয়ে দেয়াই এই পুলিশী অভিযানের মূল লক্ষ্য।
নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়েরকৃত কোন অভিযোগের ব্যাপারে কিংবা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্বস্ততার সহিত দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছেন, কিন্তু খুলনা-গাজীপুরসহ চলমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে ঢালাও অনিয়ম ও অনাচারে সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা তছনছ হওয়ার পরেও তাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত। শুধু নীরব নয় বরং সরকারের অনুষঙ্গ হিসেবেও কাজ করছে তারা।