একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে আসতে প্রতিদিনই যোগাযোগ করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানালেন এরইমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করা কয়েকটি দলের নামও। এর মাঝেই তিনি বলছেন, জোটের রাজনীতির শেষ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। এখনই মুখ খুলতে চাই না।
১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ও ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে আসে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এর মধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জাকের পার্টি, সাতটি দলের একটি বাম অ্যালায়েন্স, বাহাদুর শাহ এর ইসলামী ফ্রন্ট। তারা আমাদের অফিসে এসেছেন আমাদের কাছে একটি দাবি রেখে গেছেন, আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান, শামিল হতে চান।
উল্লেখিত দলগুলোর নাম বলে আওয়ামী লীগ সহসাধারণ সম্পাদক দাবি করেন প্রতিদিনই দু’একটি রাজনৈতিক দল তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। জানাচ্ছে, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে থাকার আগ্রহ।
তবে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। জোটের সমীকরণ শেষে কী হবে তা জানার জন্য অপেক্ষার কথা বলেন তিনি। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমীকরণের ওপরই আওয়ামী লীগের জোট ভাবনা নির্ভর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে এলে ওয়ার্কিং কমিটির সভায় আমরা বসবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো কাকে আমরা জোটে নেবো, কাকে নেবো না।
তিনি বলেন, আমরা জোট রাখতে পারব কিনা? ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করব কিনা? কিংবা একাই নির্বাচন করব, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচনের সামনে আগে রাজনৈতিক সমীকরণ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যুক্তফ্রন্টের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমাদের বলার তেমন কিছু নেই। দেশের ২০০টির মতো রাজনৈতিক দল ১৪টির মত অ্যালায়েন্স রয়েছে। মেকিং গ্রিটিং চলছে নির্বাচনের আগে অ্যালায়েন্সের সমীকরণটা কেমন হবে তা শুধু তখনই বোঝা যাবে। এজন্য ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন কাদের।
কোন জোট কিংবা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে বৈতরণী পারে বাধা হিসেবে দেখছেন না আওয়ামী লীগের এ নেতা। বলছেন: এটা ২০০১ কিংবা ২০১৪ সাল নয়। আমাদের কোনো শঙ্কা নেই। বিএনপি যদি মনে করে তারা আগামী ১৫-২০ দিনে ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, তাহলে আমি বলবো তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
জনগণের ওপর আওয়ামী লীগ আস্থা রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন: আমাদের সব থেকে বড় আস্থার জায়গা বাংলাদেশের জনগণ। দেশের জনগণ যখন শেখ হাসিনার দৃঢ় ও শক্তিশালী নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখছে। জনগণ যখন আমাদের সঙ্গে আছে, তখন ওই নেতায় নেতায় ঐক্য কিংবা জনবিচ্ছিন্ন নেতারা কে কি করবে এটা কি আমরা মোটেও চিন্তিত নই।
বিকল্পধারা-এলডিপি
বিকল্পধারা এবং এলডিপিকে নির্বাচনী জোটে নেওয়ার কোন ভাবনা আওয়ামী লীগের রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন: কর্নেল অলি আহমেদ এর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
তবে তিনি আমাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে আসা কিংবা ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ইচ্ছা পোষণ করেননি।
বিকল্পধারা যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আলাদাভাবে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, বলে যতদূর আমি জানি। করুক সমস্যা কোথায়। ১৪টা জোট হয়েছে ২০-২৫টা হলেও তো সমস্যা নেই।