আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া একজন বিনয়ী পণ্ডিত,তার উপস্থিতি আমরা উপলব্ধি করছি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাবির সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সোমবার আবুল কালাম মোহাম্মদ জাকারিয়া’র জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ যাকারিয়া বিনয় সবার জন্যই অনুকরণীয়। তিনি আমাদের মধ্যে আছেন।
প্রত্নত্ত্ববিদ, পুঁথি বিশারদ, অনুবাদক, নৃবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক সচিব আবুল কালাম মোহাম্মদ জাকারিয়া’র জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকার স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া’র কনিষ্ঠ কন্যা সুফিয়া আতিয়া যাকারিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর ফার্সি ভাষার অধ্যাপক শামীম বানু, আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া’র সাবেক সহকর্মী কাজী আনিসুর রহমান। যোগীর গানের পরিচিতি তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন কবির।
তারা বলেন, আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া একজন কঠোর পরিশ্রমী গবেষক। জ্ঞান সন্ধানী প্রতিটি মানুষ তার কাজে উপকৃত। মানুষের প্রতি তার সম্মান সবার জন্য অনুকরণীয়।
শিল্পী মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন- সেঁজুতি, ইসরাত জাহান কাঁকন, অরুণা সরকার ও আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া’র কন্যা ডা. যাকিয়া মাহফৃুজা।
পরিশেষে প্রায় ৪ ঘণ্টা ব্যাপী যোগীর গান পরিবেশন করেন নাটোরের তছের মণ্ডল ও তার দল। যোগীর গানে সংলাপ মূলত গুরুর সঙ্গে শিষ্য ও অন্যদের। প্রথা অনুসারে, যোগীর হাতে থাকে মশাল। গুরুর ভূমিকা পালন করেন তছের মণ্ডল। একদল মঞ্চের মাঝে হারমোনিয়াম, ঢোলক, জুড়ি, খঞ্জরী ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে চক্রাকারে বসে। অন্য দল চক্রের চারপাশে নৃত্য-নাট্য-গীত পরিবেশন করবে।
মঞ্চে মোক্তার মোল্লা বাল্মীকি দাস নামক শিষ্য চরিত্রে, ফরহাদ মণ্ডল যোগিনী এবং জহিরুল ইসলাম ঠান্টু যোগিনীর পুত্রের চরিত্রে অভিনয় করবেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন মিরাজ প্রামাণিক, রিন্টু মোল্লা, দিনাজ প্রামাণিক, রহমান প্রামাণিক, নাজীর মণ্ডল ও জামাল প্রামাণিক ও খাতার মাস্টার মুজির উদ্দিন মেম্বার।