আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) জন্য মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এই অর্থের পুরোটাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সংগ্রহ করতে হবে।
চলতি অর্থবছরের (২০১৮-২০১৯) মূল বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের জন্য ওই রাজস্বের মধ্যে রয়েছে এনবিআরের ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সেবার ফি, হাসপাতালের টিকিট মূল্য, সেতুর টোলসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ আয়ের বাইরে আগামী অর্থবছরে বিদেশ থেকে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার আশা করছে সরকার। অনুদান যেহেতু ফেরত দিতে হয় না, তাই এ পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেলে মোট আয় দাঁড়াবে তিন লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা অনুদানের আশা করলেও বাজেট সংশোধনকালে তা কমিয়ে তিন হাজার ৭৮৭ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কালো ব্রিফকেসে বন্দী বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট এবং আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। তবে পুরোপুরি সুস্থ না থাকায় তার পক্ষে বাজেটের বাকি অংশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।