কোনো টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য নয়; বরং সকল দর্শকের জন্যই ‘আয়নাবাজি’
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর পরিচালক অমিতাভ রেজা। তবে
আলোচনা-সমালোচনা ছাড়িয়ে দর্শক চাহিদার তুঙ্গে থাকা আয়নাবাজি সারাদেশে সব
শ্রেণীর দর্শক সমানভাবে গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
চ্যানেল আই অনলাইনেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে অমিতাভ রেজা বলেন: আমরা আশা করবো দেশের ষোল কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত চার কোটি মানুষও যদি চলচ্চিত্রটি দেখে; তাহলে আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট সার্থক হবে। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী মানুষও অল্প সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করার সুযোগ পাবে।
তবে দীর্ঘ চার বছরের প্রচেষ্টা পুরোপুরি সফল সেটা এখনই স্বীকার করতে নারাজ গুণী এ পরিচালক। এ তিনি বলেন,‘আমরা এখনই দাবি করছি না আয়নাবাজি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে। হয়তো মুক্তিপ্রাপ্ত ২০ সিনেমা হল-ই হাউজফুল হচ্ছে। তাই বলে আমরা এখনই দাবি করছি না আয়নাবাজিতে আমরা পুরোপুরি সফল। আর কিছু দিন যাক!
আগামীতে আরও বেশি সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার আশাবাদ রাখেন এ পরিচালক।
এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফুটিয়ে তোলায় চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসা করে অমিতাভ রেজা বলেন: আমি মনে করি চঞ্চল ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ নেই যে ‘আয়না’ চরিত্রটি করতে পারতো। আর আপনি দেখবেন অন্য যারা অভিনয় করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আমি দীর্ঘ ১০-১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। তাদের একাগ্রতা-কমিটমেন্টের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম।
তবে আয়না চরিত্রের জন্য চঞ্চলকে ১০ মার্কস-এর মধ্যে ৪ এর বেশি দিতে নারাজ তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমি চঞ্চলকে ১০ এর ভেতর ৪ এর বেশি দিবো না। তবে হ্যাঁ, ৪ এর বেশি পাওয়াও সম্ভব না! ভালো একটি প্রডাকশনের জন্য প্রয়োজন দক্ষ কিছু হাত। দক্ষ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী; সেই সঙ্গে কমিটমেন্ট। যার সবই আমার টিমে ছিলো।’
অবশ্য প্রশংসার পাশাপাশি সামান্য কিছু সমালোচনাও সইতে হয়েছে স্বীকার করে এ পরিচালক বলেন, ‘তবে সেগুলোকে খুব বেশি বড় করে দেখার কিছু নেই। চলচ্চিত্রটি যেভাবে দর্শক গ্রহণ করেছে; আসছে দিনগুলোতেও ঠিক একইভাবে গ্রহণ করবে।’