নিয়ম অনুযায়ী আবেদন না করায় আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামীর খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে রোববার ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।
সকালে আবেদনের উপর শুনানির সময় এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কার্যতালিকায় থাকা শুধু একজন আসামীর থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
তিনি এটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চান সব আসামীদের নাম উল্লেখ না করে এবং নিয়ম অনুযায়ী কেন আবেদন করা হয়নি। একই সাথে সলিসিটর কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই আবেদন করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় শুনানির জন্য সময় চান এটর্নি জেনারেল।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ১৭ জুলাই শুনানির দিন ঠিক করেন। পরে আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন ওই তারিখ পর্যন্ত ১১ আসামীর খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে চেম্বার জজের আদেশ বহাল থাকবে। হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হচ্ছে- ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির। এদের মধ্যে নিম্ন আদালতের রায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।
আপিলের রায়ে গত ১৫ জুন তাদের খালাস দেয় হাই কোর্ট। ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে নিহত হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন। মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।