বিশ্ব ক্যান্সার সার্ভাইভারস দিবসটি উদযাপন করছে ঢাকার আশুলিয়ার আহছা্নিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল। ক্যান্সার জয়ীরা তাদের জীবনের কথা জানিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে।
৫৮ বছরের রীনা বেগম ব্রেস্ট ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণায় ভুগেছেন। সেই যন্ত্রণা জয় করে তিনি সুস্থ জীবন যাপন করছেন ছয় বছর ধরে।
ক্যান্সার জয়ী রীনা বেগম বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি বড় কাজ হল তাদের খাওয়ার প্রতি লক্ষ্য রাখা। অনেক বিষয়ে ক্যান্সারের রোগীকে সাহায্য না করলে এই রোগীরা মনের বল পায়না। প্রতিটি রোগীকে যেন তারা মনের বল দিতে পারে সেই আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। প্রতিবছর নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে ২ লাখ মানুষ। ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতায় আগে এই রোগটি সনাক্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে ৬৬ শতাংশ ক্যান্সার আক্রান্তদের বাঁচানো সম্ভব বলে এই বিশেষ দিবসে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে মাত্র ৩৩ শতাংশ ক্যান্সার রোগী চিকিৎসার পর সুস্থ হন। কিন্তু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্ত করে নিয়মিত চিকিৎসা নিলে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত ক্যান্সার রোগী সুস্থ হতে পারেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান বলেন, রোগীদের রোগের প্রতি সচেতনতা ও নিয়মিত চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হতে পারে।
দেশে স্বল্প মুল্যে ক্যান্সার চিকিৎসায় ঢাকা আহছা্নিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অঙ্গীকারের কথা জানান। এ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও অনেকের।
ঢাকা আহছা্নিয়া মিশন এর প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম বলেন, তারা চেষ্টা করছেন আহছা্নিয়া মিশনের মাধ্যমে সারা দেশবাসী যেন ক্যান্সারের চিকিৎসা পায়।
এএমসিজিএইচ এর পরিচালক অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার সৈয়দ ফজলে রহিম বলেন, হাসপাতালের কাজ শেষ করতে তাদের আরো কিছু সময় ও টাকার প্রয়োজন আছে।দেশের যাদের সামর্থ আছে তারা এই কাজে সহয়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক সেবন না করা, খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং সুস্থ জীবন চর্চার আহবান করেন।