রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আসেম সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সফররত ৩ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সর্বোচ্চ চেষ্টার ঘোষণায় এ সামিট থেকে সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশা করছেন নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা।
এশিয়া ও ইউরোপের ৫৩টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ১৩তম সম্মেলন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে শুরু হয় আসেম সম্মেলন। সূচনা বক্তব্যে অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ করলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা এ সম্মেলনের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আশা করছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা বলছেন, তারা এখানে সব কিছু পাচ্ছেন, তারপরও নিজ দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী তারা। মিয়ানমারে হওয়া এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমধানের পথ বের হয়ে আসার প্রত্যাশার কথাও জানালেন তারা।
এর আগে রোববার কক্সবাজারের উখিয়া সফর করেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেদেরিকো মোঘেরিনি, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্টার ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কানো। সেখানেই আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করার কথা জানান ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেদেরিকো মোঘেরিনি।