১১তম এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলন(আসেম) শুরু হয়েছে। আসেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। ‘আসেম’-এর ২০ বছর: কানেকটিভির মাধ্যমে ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে এবারের সম্মেলন।
মঙ্গোলিয়ার স্থানীয় হোটেল সাংগ্রিলাতে এই সম্মেলন শুরু হয়।
আসেম ভুক্ত ৩০টি ইউরোপীয় ও ২১টি এশীয় দেশ এবং দুটি আন্তঃসরকার সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
দুই দিনের এ সম্মেলনে ১১টি দেশের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, ১৬ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস-এর সেক্রেটারি জেনারেল অংশ নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা ছেড়ে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে পৌঁছান।
আয়োজকদের সূত্র থেকে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় প্লানারি সেশনে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, প্রথম অধিবেশনে আসেম-এর ২০ বছরের রাজনৈতিক সংলাপ লব্ধ অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে আর্থ-সামাজিক আদান-প্রদান বিষয়ে বিষয়ে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে দুই মহাদেশের মধ্যে ‘হার্ড’ এবং ‘সফট’ কানেকটিভির উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হবে দ্বিতীয় সেশনে।
আগামীকাল ‘এনহেন্সিং দ্য থ্রি পিলার অব আসেম’ শীর্ষক অবকাশকালীন বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এই অধিবেশনেই বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী বিশেষ করে সন্ত্রাস দমন এবং অভিবাসনের মত বিষয়গুলোও আলোচনায় স্থান পাবে। আসেম-এর ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে ‘উলানবাটোর’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন চলাকালে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।