চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আসাম ইস্যুতে ভারতে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আসামের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ আসামে ‘গৃহযুদ্ধ ও রক্তস্নানের’ দিকে ঠেলে দিবে।

মঙ্গলবার দিল্লীর কনস্টিটিউশন ক্লাবে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের কনফারেন্সে তিনি এই কথা বলেন।

তবে মমতার এই বক্তব্যে হতভম্ব হয়েছেন জানিয়ে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেছেন, গৃহযুদ্ধের কথা বলে মমতা ব্যানার্জী সংশয় ছড়াচ্ছেন।

ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য আসামে নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। রাজ্যটির নাগরিকদের খসড়া তালিকা বা ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন্স থেকে তাদের নাম বাদ পড়ে গেছে।

৩০ জুলাই সোমবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই নাগরিকত্ব না পাওয়া মানুষদের অধিকাংশই বাঙালি বলে জানা গেছে।

এনটিভি জানায়,  নাগরিকদের খসড়া তালিকা নিয়ে মঙ্গলবার সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের তুলোধনা করে তিনি বলেন, তারা কীভাবে আসামে বসবাস করবে? তারা কোথায় আশ্রয় পাবে, খাবার পাবে, স্কুল পাবে? 

তিনি বলেন, বিজেপি জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো নয়। দেশে গৃহযুদ্ধ ও রক্তস্নান হবে। কারা ভারতীয়, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার তারা কে? শুধু বিজেপির লোক ভারতীয়, আর এর বাইরে সবাই ভারতীয় নয়? ভারতের রাজনীতির নাম সহনশীলতা, ভারতের রাজনীতির নাম গণতন্ত্র।
মমতা আরো বলেন, আমি অবাক হয়েছি, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্যরাও তালিকাতে নেই। এ ধরণের আরো অনেক মানুষের নামই নেই।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, গৃহযুদ্ধের অভিযোগ করে মমতা ব্যানার্জী সংশয় ছড়াচ্ছেন। তিনি ভোট ভ্যাংকের রাজনীতি করছেন। আমি তার পুরো বক্তব্য শুনে হতভম্ব হয়েছি।

নাগরিকত্ব তালিকা বিষয়ে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ভারতের নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের পরিষ্কার অবস্থান রয়েছে যে কোথায় ভারতীয়তের অধিকার গুরুত্ব আছে বা নাই।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, আসামের নাগরিকত্ব তালিকার কেবল খসড়া করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি পরিষ্কার করেছে। আদালত বলছে, এই তালিকার ভিত্তিতে সবার শুনানী ব্যতীত কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না।

আদালত আরো জানায়, আগামী ৭ আগস্ট এই খসড়া তালিকা জনসমুক্ষে প্রকাশ করা হবে। যারা এই তালিকায় থাকবে না তারা ৩০ আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপত্তি জানাতে এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।