রিমান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহসহ তিনটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর রিমান্ড শুনানি হয়নি। শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে ৬ জুন।
সোমবার সকালে তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেনের আদালতে তোলা হয়। আদালতে গুলশান থানায় দায়ের একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ও দুইটি নাশকতাসহ তিন মামলায় মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে তোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
এর আগে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাতদিনের রিমান্ডে ছিলেন আসলাম। গত ২৪ মে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে দিল্লিতে গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার অভিযোগে গত ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ২৬ মে সন্ধ্যায় ডিবি ইন্সপেক্টর গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় সরকার।
ইসরাইলী লিকুদ পার্টির নেতা এবং সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল ভারতে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি প্রকাশ হলে গণমাধ্যমে খবর আসে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আসলাম চৌধুরী।
ওই বৈঠকটি ছিল সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, এমন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে ডিবি।