বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে এক করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত আইনে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে ওই দুটি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা চাকরি হারাবেন না।
অনেক প্রত্যাশা নিয়ে কাজ শুরু করলেও গত ১৫ বছরে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। বিগত সময়ে মাত্র ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ হয়েছে আর শেয়ার অফলোড হয়েছে ২৩ প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি দেশে বিনিয়োগ বাড়লেও বিনিয়োগ খাতকে আরো সমৃদ্ধ ও বিনিয়োগকারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চিন্তাও ছিলো সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাই বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে এক করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৫-তে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এই আইন পাস হওয়ার পর ওই দুটি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হবে ১৭ সদস্যের গভর্নিং বডির মাধ্যমে যার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান, থাকবেন একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান। কয়েকজন মন্ত্রীও থাকবেন বোর্ড সদস্য হিসেবে।
বৈঠকে, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ অনুয়ায়ী পরিষদের প্রতিষ্ঠান ও কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ সরকার প্রদত্ত অর্থ পরিষদের তহবিলে জমা দেয়ার প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়।