অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলিকে বাদ দিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে ব্যাট-বল কোনোটাতেই সাড়া ফেলতে পারেননি তিনি। তার জায়গায় লর্ডস টেস্টের জন্য নেয়া হয়েছে স্লো বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচকে।
এসবাস্টনের প্রথম টেস্টে বল হাতে দুই ইনিংসে ১৭২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মঈন। আর ব্যাট হাতে করতে পারেন দুই ইনিংসে মাত্র চার রান। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের লিড নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড।
মঈনের মতো লর্ডসে টেস্টে থাকছেন না পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও। তিনি অবশ্য ইনজুরির কারণে নেই। প্রথম টেস্টে মাত্র চার ওভার বল করতে পারেন জিমি। চোটের কারণে খেলতে পারবেন না অ্যান্ডারসনের বিকল্প অলি স্টোনও। ফলে এই দুই পেসারের অনুপস্থিতিতে অভিষেক হচ্ছে বিশ্বকাপ হিরো জফরা আর্চারের। ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
মঈনের বদলে যে লিচকে নেয়া হয়েছে, তিনি এর আগে পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন। সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯২ রানে জেতা টেস্টের ম্যাচসেরাও তিনি।
প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে নাম ছিল আর্চারেরও। কিন্তু ইনজুরি থেকে ভালোভাবে সেরে উঠতে আরও সময় দেয়া হয় তাকে। চলতি সপ্তাহেই আবার সাসেক্সের হয়ে ২৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার সঙ্গে ৯৯ বলে সেঞ্চুরি করেছেন আর্চার।
প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১১ ও ১৮ রান করেছিলেন জো ডেনলি। তবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন তিনি। তার মতোই দ্বিতীয় টেস্টে জায়গা নিশ্চিত প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে দুজন মিলে ২০ রান করা জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো।
সাম্প্রতিক সময়ে ফর্ম নিয়ে ভুগছেন মঈন। বিশ্বকাপের মাঝপথে স্কোয়াডে অনিয়মিত হয়ে যান। ক্যারিয়ারের ৬০ টেস্টে এ পর্যন্ত ১৮১ উইকেট নিয়েছেন আলি। তবে শেষ ১২ মাসে ১৯ টেস্টে ২৫.১২ গড়ে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট, যেটা এই সময়ে টেস্টে যেকোনো বোলারের চেয়ে বেশি।
তবে ব্যাট হাতে এই সময়টা খুবই খারাপ গেছে আলির। সবশেষ ২০ ইনিংসে মাত্র দুটি হাফসেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। তার উপর অজি স্পিনার নাথান লায়নের সামনে যেন পথই খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। শেষ ১১ দেখায় ৯ বারই আউট হয়েছেন লায়নের বলে।
২০১৯ সালে ৯ ইনিংসে চারবার খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন মঈন। এসময় মোট রান করেছেন ৯০। এই ৯০ রানের মধ্যে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ইনিংসেই করেন ৬০ রান।
এসবাস্টনের স্পিন পিচে বল হাতেও সুযোগ নিতে পারেননি মঈন আলি। প্রতিপক্ষ স্পিনার লায়ন দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ দুই ইনিংসে যেখানে ৯ উইকেট নিয়েছেন, সেখানে দুই ইনিংসে মঈন নিতে পারেন কেবল ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১ টেস্টে ব্যাট হাতে ৪৭৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ২০ উইকেট নিয়েছেন মঈন।
প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। তবে ২০০১ সালের পর ঘরের মাঠে অ্যাশেজ হারেনি তারা।
দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দল:
জো রুট (অধি.), জফরা আর্চার, জনি বেয়ারস্টো (উইকি.), স্টুয়ার্ট ব্রড, ররি বার্নস, জস বাটলার (উইকি.), স্যাম কারেন, জো ডেনলি, জ্যাক লিচ, জেসন রয়, বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।