মহররম মাসে মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে শিয়া সম্প্রদায়ের সমাবেশ এবং তাজিয়া মিছিলে হামলার ঘটনা নতুন নয়। তবে বাংলাদেশের রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর এধরণের হামলা এটাই প্রথম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের মিছিল লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারও আশুরার আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়।
পাকিস্তানে শুক্রবারের হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও বৃহস্পতিবারের হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানী জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-জাংভি।
পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়কে মুসলিম হিসেবে অস্বীকার করে তাদের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে তালেবান সন্ত্রাসী ও লস্কর-ই-জাংভি নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
২০১১ সালে আফগানিস্তানে আশুরায় বোমা হামলা চালিয়ে ৫৮ জন শিয়াকে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালেও আশুরার অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ৫৯ জন নিহত হয়। সেই হামলাও লস্কর-ই-জাংভি চালিয়েছিলো বলে জানায় আফগান কর্তৃপক্ষ।
মধ্য প্রাচ্যের ইরাকে শিয়াদের শোক-মাতমে বোমা হামলার ঘটনা অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর তুলনায় বেশি।
২০০৭, ২০১৩,২০১৪ এই তিন বছরে আশুরায় উপলক্ষ্যে কারবালার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১’শরও বেশি শিয়া মুসলিম। ইরাকে শিয়াদের ওপর এসব হামলার জন্য বিভিন্ন সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট বা আইএস কে দায়ী করা হয়।
আরবি মাস মহররমের প্রথম দশদিন মুসলামানদের কাছে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ তবে কারবালায় নবী (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন এর শাহাদাৎ বরণের শোকাবহ দিনটি আলাদা ভাব-গাম্ভীর্যে পালন করে মুসলিম বিশ্বের শিয়া সম্প্রদায়।