ব্যাটসম্যানরা এনে দিয়েছিলেন মাঝারি মানের সংগ্রহ। সেই পুঁজি নিয়ে জোর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি বোলাররা। তাতে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে হেরে এসিসি ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
বৃহস্পতিবার কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে সোহান-মোসাদ্দেকদের দল। একইদিনে আরেক সেমিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ভারত।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার জাকির হাসানকে(১) হারায় বাংলাদেশ। ১১ ওভার শেষ না হতেই দলীয় ৪১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সোহান (৮) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১০)।
আগের দুই ম্যাচের সেরা পারফর্মার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার মিজানুর রহমান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬৫ রান।
৩৯ রান করা মোসাদ্দেক দলীয় ১০৬ রানের মাথায় আউট হলে ইয়াসির আলীকে সঙ্গী করে লড়াই চালিয়ে যান মিজানুর। ব্যক্তিগত ৭২ রানে রানআউটে মিজানুর কাটা পড়লে রানের গতিও কমে যায় বাংলাদেশের।
পরে একা লড়াই চালিয়ে ৬৬ রান তুলে টাইগারদের ২৩৭ রানের মাঝারি সংগ্রহ এনে দেন ইয়াসির।
বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের জবাবটা ছিল ইতিবাচক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লঙ্কান ওপেনার হাসিথা বোয়াগোদাকে শূন্য রানে ফেরান পেসার শফিউল ইসলাম। ৫৯ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেন টাইগার বোলাররা।
ওপেনার সানদুন ভিরাক্কোদি ও সেহান জয়সুরিয়ার ব্যাটে ভর করে সেই চাপ সামলে ওঠে লঙ্কানরা। ভিরাক্কোদি করেছেন ৪৭ ও জয়সুরিয়ার ব্যাটে আসে ৩৯।
বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন আসলে মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস। তার অপরাজিত ৮৮ বলে ৯১ রানের ইনিংসে ভর করেই ১০ বল বাকি রেখে ফাইনালের টিকিট কাটে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সফলতম বোলার শরিফুল ইসলাম। তার ঝুলিতে জমা হয়েছে দুই উইকেট। আফিফ হোসেন, নাঈম হাসান ও শফিউল নিয়েছেন একটি করে উইকেট।