চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘আল্লাহ পাক জানে’

সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই দলীয় নেতাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে আগাওগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আসেন সাবেক সেনা শাসক এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মহুম্মদ এরশাদ। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। সংলাপ শেষে বাইরে এসে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ধুসর রঙের কোর্টের সঙ্গে হালকা গোলাপী চেকের টাই পড়ে আসা এরশাদ শুরু থেকেই মেপে মেপে কথা বলছিলেন। জানাচ্ছিলেন নির্বাচন কমিশনকে দেয়া তার দলের দেওয়া প্রস্তাবগুলোর সারসংক্ষেপ।

তাদের প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম ছিল সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে বিএনপির থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে এরশাদ বলেন, যেহেতু তারা বর্তমান সংসদে নেই তাই দুঃখজনক হচ্ছে তারা থাকতে পারবে না (অন্তর্বর্তী সরকারে)।

তার বক্তব্য শেষে  সাংবাদিকরা দুটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেন এরশাদকে। তারা এরশাদের কাছে জানতে চান, প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে এরশাদ কি মনে করেন যে বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কী করে বলবো, আল্লাহ পাক জানে’।

কিছুক্ষণ পর তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়, তাহলে আবারও কি নির্বাচন একতরফাভাবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে হবে?



এই প্রশ্নেরও একই জবাব দেন এরশাদ, বলেন ‘আল্লাহ পাক জানে’।

তবে বিএনপি নির্বাচনে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিইসি কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেন জাতীয় পার্টির ২৫ জন প্রতিনিধি।

আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করল নির্বাচন কমিশন। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইতোমধ্যেই সবগুলো দলের সঙ্গে সংলাপের সূচি প্রকাশ করেছে ইসি। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৮ অক্টোবর এবং বিএনপির সঙ্গে ১৫ অক্টোবর সংলাপ করবে ইসি।

এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে বিকল্পধারা বাংলাদেশ; বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোট, ১১ তারিখ সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি; বিকেলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ১২ তারিখ সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিকেলে গণতন্ত্রী পার্টি,  ১৬ তারিখ সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিকেলে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), ১৯ অক্টোবর সকালে জাতীয় পার্টি-জেপি; বিকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।

এরপর ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী এবং ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করবে ইসি।