ঘোর অন্ধকার-অমানিশার মাঝে কখনো কখনো কিছু প্রদীপ দপ করে জ্বলে ওঠে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর বড়দিদি উপন্যাস শুরু করেছেন এইভাবে- ‘এ পৃথিবীতে এক সম্প্রদায়ের লোক আছে, তাহারা যেন খড়ের আগুন। দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেও পারে, আবার খপ করিয়া নিবিয়া যাইতেও পারে। তাহাদিগের পিছনে সদা-সর্ব্বদা একজন লোক থাকা প্রয়োজন,– সে যেন আবশ্যক অনুসারে, খড় যোগাইয়া দেয়’।
বাংলাদেশে এই করোনাক্রান্তিতে শত কিছু স্বেচ্ছাসেবী ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র দল দপ করে জ্বলে উঠেছে। এই দেশে মারী ও মড়কে, ঝড়ে ও তুফানে এই স্বেচ্ছাশ্রমের চিত্র বহুবার দেখা গেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে একটি রক্তক্ষয়ী স্বেচ্ছাশ্রমযুদ্ধের মাধ্যমে। আজ একটা অণুজীব এসে গৃহবন্দী মানুষকে বুঝিয়ে দিলো পৃথিবী কতোটা অন্তঃসারশূন্য আড়ম্বরতায় ছিলো এতদিন। কথিত উন্নতির চরম শিখরে থাকা দেশগুলোও কতটা অসহায় আজ! বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে৷ বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হাজার হাজার দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের পেটে ভাত নেই। দিনে এনে দিন খাওয়া মজুর, শ্রমিক ও স্বল্পআয়ের মানুষের দিশেহারা দশা। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাতে হিমশিম নিম্নআয়ের মানুষের। এরই মধ্যে মানবতার হাত যদিও পৌঁছে যাচ্ছে কিছু। ঘুচে যাচ্ছে ক্ষুধার যন্ত্রণা। করোনাক্রান্তিতে সরকারের পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষদের খাদ্যের যোগান দিয়ে যাচ্ছে শত শত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে এসব সংগঠন। এদের মধ্যে অনেকে আবার সারা দেশে তাদের ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিচ্ছে। তেমনই স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কিছু কর্মসূচিতে আলো ফেলাই এই লেখার বিষয়। যাদের নাম বিদ্যানন্দ, জাগো, মার্সি, আলোর আশাসহ আরও বেশকিছু সংগঠন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে ‘বিদ্যানন্দ’ বেশ পরিচিত। তারা সারাদেশে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদিও সারাদেশে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী না থাকায় প্রথমে ত্রাণ পৌঁছাতে একটু বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের, তবে এখন তারা সব জেলার স্থানীয় সমাজসেবামূলক সংগঠনগুলোর সাহায্যে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যানন্দ খাবার রান্না করে রাস্তায়, ফুটপাতে থাকা মানুষদের খাবার দিচ্ছে। বিদ্যানন্দ এক্ষেত্রে জাগো ফাউন্ডেশনের সাথেও কাজ করছে। তারা জাগোর ভলান্টিয়ারদের সহায়তায় খাবার বিতরণ এবং ত্রাণ নির্দিষ্ট এরিয়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। জানা গেছে, বিদ্যানন্দ দুইলক্ষ পরিবারেরর কাছে তাদের ত্রাণ পৌঁছাবে ৬৪ জেলায়। সমতলে তারা একটা পরিবারকে এক মাসের ত্রাণ দিচ্ছে আপাতত। আর দুর্গম এলাকায় এককালীন ত্রাণ সহায়তাও দেয়া হচ্ছে। তারা পুরো বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তাদের ত্রাণ বিতরণ করছে। এক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের মতো বাংলাদেশের সবগুলো বড় অর্গানাইজেশন তাদেরকে ভলান্টিয়ার সাপোর্ট দিচ্ছে। তারা দশ থেকে চৌদ্দ হাজার মানুষের প্রতিদিনের খাবার আয়োজন করছে। তারা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিক কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। বাংলাদেশের সব বড় সাপ্লাইয়ারদের মাধ্যমে তাদের ত্রাণ সামগ্রীগুলো জোগাড় করছে তারা।
জাগো ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশের ৩৪টি জেলায় কাজ করে যাচ্ছে। জাগো ফাউন্ডেশন তাদের কাজগুলো পরিচালনা করছে, তাদের ইয়ুথ উইং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের (ভিবিডি) মাধ্যমে। জাগো নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্যও একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। নিম্নমধ্যবিত্তদের এই ত্রাণ পেতে যদিও একটু রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তবে ভিবিডির স্থানীয় ভলান্টিয়াররা রেজিস্ট্রার্ডদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসছে। জাগো ফাউন্ডেশন ঢাকার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় রান্না করা খাবার বিতরণও করছে। তাদের এই সবকিছুর জন্য ডোনেশন আসছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রবাসীদের কাছ থেকেও। তারা চার জনের একটি পরিবারের জন্য সাতদিন, চৌদ্দ দিন, আঠাশ দিন এভাবে এলাকাভেদে ত্রাণ দিচ্ছে। আলোর আশা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের সাত টি ওয়ার্ডে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে এবং তাদের এই কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
মার্সি ইয়ুনিভার্স চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকাগুলোতে অবস্থান করা নিম্নবিত্ত ফ্যামেলিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। লাইফ কোচ বাংলাদেশ চট্টগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের লিস্ট করে করে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল রাঙামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থানা পুলিশকে লকডাউন অবস্থায় রোগীদেরকে বিনামূল্যে সেবা দিতে একটি এম্বুলেন্স প্রদান করেছে। টিম চিটাগং ও নির্দিষ্ট এরিয়ায় গিয়ে যাদের খাবারের প্রয়োজন, তাদের তালিকা করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। তবে সবগুলো সংগঠনের ক্রাইসিসে পড়তে হচ্ছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দামবৃদ্ধির কারনে। তারপরও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের কৃতি প্রাক্তনী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন খান ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সহকারী প্রশিক্ষক বারেক কায়সায়সহ আরো কয়েক জন মিলে গড়ে তুলেছেন ‘সঙ্গে আছি’ নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারা মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁরা জানান, ঢাকায় অবস্থানরত মধ্যবিত্ত/নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, যারা লোকলজ্জায় সাহায্য চাইতে পারছেন না, তারা ‘সঙ্গে আছি’র ফোন নাম্বারে ফোন দিচ্ছেন। গোপনে চাল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে করোনা-দুর্যোগ মোকাবেলায় এক ব্যওতিক্রমী মানবিক উদ্যোয়গ নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ (এমসিজে)। দীর্ঘ বন্ধে এই বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা মিলে একটি তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে তাঁরা এমসিজে বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যাভন্যও বিভাগের যেসব শিক্ষার্থীর পরিবার চলমান লকডাউন অবস্থায় খাদ্যসংকটে পড়েছে- সেসব পরিবারকে সহযোগিতা দিচ্ছন তাঁরা। এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ যেকোনো পেশাদার গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মতো অনলাইন নিউজপোর্টালও পরিচালনা করছে।
এছাড়াও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অঞ্চলভিত্তিক ব্যক্তিবিশেষের কিছু ত্রাণতৎপরতা দেখা গেলেও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে সারাদেশে ছাত্র-যুবকদের সমন্বয়ে ত্রাণ তৎপরতা, হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রস্তুত ও বিতরণ এবং ‘ক্রাইসিস রেসপন্স টীম’ গঠন করার চিত্র বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এইসব টীমের কাজ হিসেবে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো- ত্রাণ পৌঁছানো ও ত্রাণ পেতে সহযোগিতা করা। এই লেখাটি শেষ করবো স্বেচ্ছাসেবার অভিনব একটি উদাহারণ দিয়ে।
অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সহায়তাসহ যেকোন সংকটাপন্ন অবস্থায় মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য বরিশালে ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন চোখে পড়ছে। স্থানীয় বাসদ নেত্রী ডাক্তার মনীষা চক্রবর্তী এবং তাঁর দলের উদ্যোগে চলছে ব্যতিক্রমী কিছু কাজ। বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী গণমাধ্যমকে বলেন, এই সংকটময় মুহুর্তেও আমাদের নববর্ষের যে চেতনা, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তি জাগ্রত হওয়ার যে চেতনা সেই চেতনাকে ধারণ করে বরিশালের দুস্থ মানুষদের মধ্যে বৈশাখি খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করে আমাদের নতুন বছরের বার্তাটি সকলের মাঝে নিয়ে যেতে চাই। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে চাই। তাই আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি, অসহায় মানুষের জন্য একমুঠো চাল সংগ্রহসহ নানান ত্রাণ বিতরণ কাজ অব্যাহত রেখেছি।
ডাক্তার মনীষাসহ বাংলাদেশের আরো শত শত স্বেচ্ছাশ্রমীর দিকে তাকিয়ে ইতালি রওনা হওয়া এক কিউবান চিকিৎসক দলের সদস্য ৬৮ বছর বয়সী লিওনার্দো ফার্নান্দেজের সংলাপ চোখে ভাসলো। যিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভয়ে ভয়ে আছি। কিন্তু এটা বৈপ্লবিক কর্তব্য, যা করতেই হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভয় সবাই পায়, সুপারহিরোরা ছাড়া। আমরা সুপারহিরো নই, বিপ্লবী চিকিৎসক।’ হ্যাঁ, করোনা মোকাবেলাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলা হচ্ছে। যে যুদ্ধে অস্ত্রের কোনও গর্জন নেই, আছে শুধু মৃত্যুর হিমশীতল দাপট। সেই দাপটকে পরাস্থ করতে ডাক্তার-চিকিৎসক-আইনরক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি এই স্বেচ্ছাশ্রমিকরা না থাকলে যুদ্ধটা সত্যিকার অর্থেই অসম যুদ্ধই হতো। অরণ্যপ্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য দূরে ঠেলে মানুষ আজ স্বেচ্ছ্বাবন্দী হয়েছে। যেন কিছুটা শিকড়ে ফিরে যাওয়া। কিন্তু যে মানুষ পূর্বেই অরণ্যচারী, সে কি ঘরবন্দী থাকার? সবাই চাইছে ঘর থেকে মুক্তি। সকলের চাওয়া, দ্রুত করোনা গ্রাফের এই অতিদ্রুত ক্রম ঊর্ধ্বমুখী বৃদ্ধিকে একটু চ্যাপ্টা করে দিয়ে পৃথিবীকে সুস্থ করে তোলা। তোমার ভাবনাটিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যে সিস্টেম এভাবে খাদ্যকে গুদামবন্দী করেছে, সেই সিস্টেমকে চেঞ্জ ছাড়া এই ভাবনা ইউটোপিয়া! অবাক হলেও সত্যি সভ্যতার ইতিহাসে এটাই প্রথম কোন যুদ্ধ, প্রত্যেকটা দেশ যার যার মিত্রপক্ষ! কিন্তু প্রত্যেক মানুষ প্রত্যেকের প্রতিদ্বনন্দ্বী। রোগতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, যোগাযোগবিদ্যা আর চিকিৎসাশাস্ত্রের সকল সমীকরণ উল্টে দিয়ে নয়া রোগের বিশ্বায়ন জারি হয়েছে পৃথিবীতে। তাই আজ নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল একদল স্বেচ্ছাসেবীর তৎপরতাকে দেখলে মন থেকে গেয়ে উঠি- ‘..ওই যে সুদূর নীহারিকা/ যারা করে আছে ভিড়/আকাশের নীড়, ওই যারা দিনরাত্রি/আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী..’।
আমাদের এই লেখা শুরু করেছিলাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর বড়দিদি উপন্যাসের শুরুর উক্তি দিয়ে- ‘এ পৃথিবীতে এক সম্প্রদায়ের লোক আছে, তাহারা যেন খড়ের আগুন। দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেও পারে, আবার খপ করিয়া নিবিয়া যাইতেও পারে’। এই যে সারা বাংলাদেশে দিকে দিকে স্বেচ্ছাশ্রমের আলো দপ করে জ্বলে উঠলো, আসুন তাঁদের পাশে দাঁড়াই। এই আলো যদি ‘খপ করে’ নিভে যায়, দায় কিন্তু এই দেশের সরকারের, আমার-আপনার এবং সকলেরেই!
লেখকবৃন্দ:
রাজীব নন্দী,
সহকারী অধ্যাপক,
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
তাসনুভা তাহসীন,
ইন্ডিপেনডেন্ট রিসার্চার ও উদ্যোক্তা; অপরাজিতা,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)