দেরিতে হলেও গেজেট আকারে পাশ হয়েছে ২০০৫ সালে প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা। ২০১৩ সালে সংশোধিত আইনের আলোকে অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ২২ মাস পর বিধিমালা আলোর মুখ দেখলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি তামাক সেবন থেকে বিরত রাখতে উদ্বুদ্ধকরণ জরুরি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ইমন। খুলনার এই এসএসসি পরিক্ষার্থী ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে আপাতত জয়ী। তবে এই বয়সেই হারিয়েছে শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ, ডান পা।
শুধু ইমন নয়, দেশে এভাবেই ১৩-১৪ লাখ মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। প্রতিবছর নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখ মানুষ। আর মারা যাচ্ছে প্রায় ২ লাখ। মুখগহ্বর, স্বরযন্ত্র, জ্বিহবা ও ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রায় ৫০ ভাগের জন্যই দায়ী তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন।
উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে বেশি মাত্রায় মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন।
২০০৫ সালের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরো যুগোপযোগি করে ২০১৩ সালে সংশোধন করে সরকার।
এর প্রায় দুই বছর পর তৈরি হয় আইনের বিধিমালা। এতে নারী ও শিশুসহ অধুমপায়ীদের পরোক্ষ ধুমপান থেকে সুরক্ষায় কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি,আধা সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, লিফট, হাসপাতাল, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠ, শিশুপার্কসহ ২৪ ধরনের স্থানকে পাবলিক প্লেস উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ধুমপান। তবে ‘পাবলিক প্লেসে’ ধুমপানে অভিযুক্ত ব্যক্তির জরিমানা হবে মাত্র তিন’শ টাকা।