কিছুদিন ধরে নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী এবং অভিনেত্রী প্রসূন আজাদকে নিয়ে উত্তাল মিডিয়াপাড়া। ফেসবুকে তাদের দু’জনের পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসের জের ধরে চলছে নানা বিতর্ক।
এ ব্যাপারে অভিনেত্রী ও নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আমাদের শুটিং টিমের রওনা দেওয়ার কথা ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে। সেই অনুযায়ী তার (প্রসূন আজাদ) বাসাতে গাড়িও পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। অবশেষে সে এলো সাড়ে আটটায়। এবং বললো সঙ্গে তার কোনো এক ভাইকে নিয়ে যাবে। শুটিংয়ে আরেকজন যুবককে নিয়ে যাওয়ার কথা সে আগে আমাদের জানায়ও নি।’
“হুট করে তার সেই ভাইকে একটি গ্রামে শুটিংয়ে নিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রসূন বলে, আপনি আমাকে পেইন দিচ্ছেন। এখনই এত পেইন দিচ্ছেন তাহলে ২ দিন শুটিং করবো কিভাবে?”
এরপরই শুরু হয় প্রসূনের নানান ধরনের ফেসবুক স্ট্যাটাস।
অন্যান্য শিল্পীদের অপেক্ষায় থাকা সত্ত্বেও সেদিন শুটিং প্যাক আপ করতে বাধ্য হন জানিয়ে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘সে (প্রসূন) তার স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে দিয়ে শুধু আমাকে ছোট করেছে এমন নয়; পুরো পরিচালক সমাজকেই ছোট করেছে।’
“যে জায়গাটায় আমরা কাজ করি সেই জায়গাটার সম্মান যদি আমরা নিজেরাই নষ্ট করে দেই তাহলে আমাদের আত্নসম্মানটা কোথায় থাকবে? আমি চাই এই বিষয়টা সংশ্লিষ্ট সবাই মূল্যায়ন করবে। এমন শৈল্পিক একটি ক্ষেত্রে কাজ করেও আমরা যদি পরষ্পরের প্রতি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে পেশাদারিত্ব কিভাবে থাকে। নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পী কিংবা ব্যক্তি রোকেয়া প্রাচীকে কেউ অপছন্দ করতেই পারে কিন্তু সেজন্য কেউ নিশ্চয়ই পুরো ইন্ডাস্ট্রির বদনাম ছড়াতে পারে না।”
রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে কাজ করবেন না প্রসূন
তবে এসব তর্ক, বির্তক ও অভিযোগের পর লাক্স তারকা প্রসূন আজাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্মাতা রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে আর কোনো কাজ করবেন না।
এ বিষয়ে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দর্শকদের কাছে একজন অভিনেত্রী। কিন্তু নিজের কাছে একজন মানুষ। আমাকে যে যথাযথ সম্মান দেবে না, আমি তার সেটে কাজ করতে পারবো না। রোকেয়া প্রাচী আমার কাছে সবসময় আন্টির মতো। ওনি খুব ভালো একজন অভিনেত্রী আমি তার ভক্ত ছিলাম, এখনো আছি কিন্তু তার সঙ্গে কাজ করা হবে না। অন্যকোনো অভিনেত্রী থাকলে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতো; কিন্তু আমি তা পারবো না।’
অন্যদিকে প্রসূনের এমন আচরণে নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও অভিনয়শিল্পী সংঘ নাটকের এই তিন সংগঠনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।