‘আলোকিত মানুষ চাই’ বলা কণ্ঠটিতে এখন অসহ্য-অবর্ণনীয় যন্ত্রণা। পেট্রোলবোমা হামলায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের (বিসাকে) উপদেষ্টা অঞ্জন কুমার দে’র শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। শরীরের ২৫ শতাংশই ঝলসে গেছে তার।
কোনো হরতাল-অবরোধ ছিলো না। শবে বরাতের রাত। পরদিন ছুটি। অসুস্থ মা-কে দেখতে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন অঞ্জন কুমার দে।
রাত প্রায় ১টার দিকে তাকে বহনকারী ইউনিক পরিবহনের বাসটি কুমিল্লার চান্দিনাতে পৌঁছালে কে বা কারা পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারলে দগ্ধ হন অঞ্জনসহ আরও ৬ জন।
মারাত্মক দগ্ধ অঞ্জন কুমার দে’ র সহযাত্রী ছিলেন রাঙামাটি মহিলা কলেজের অধ্যাপক রণজিৎ শর্মা। পেট্রোলে পুড়ে গেছে তার শরীরের ৪২ ভাগ। প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় অঞ্জন কুমার ও রণজিৎ শর্মাকে ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেন জানান, দুজনই মারাত্মকভাবে দগ্ধ।
দু’জনেরই ইনহেলেশন বার্ন অর্থাৎ শ্বাসনালী পুড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক, কেউ আশঙ্কামুক্ত নন। এজন্য দু’জনকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে।
বছরের প্রথম তিন মাসে পেট্রোল বোমায় ঝলসানো বীভৎস স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিলেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটি দুঃসহ যন্ত্রণায় কাতরানো সামাজিক আন্দোলন কর্মী অঞ্জন কুমার দে আর শিক্ষক রণজিৎ শর্মার মতো মানুষেরা।