সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গাড়ি হামলায় মতো করে দেশে ট্রাক চালিয়ে পুলিশি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি’র সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকা থেকে বিমান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পাইলট সাব্বিরসহ (বাংলাদেশ বিমানের ফার্স্ট অফিসার) ৪ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
এলিট ফোর্স র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোঃ আলম(৩০), মোঃ আসিফুর রহমান আসিফ(২৫), মোসাঃ সুলতানা পারভীন(৫৫)।
মঙ্গলবার বিকেলে কাওরান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন: গ্রেফতারকৃত চারজনই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে র্যাবের জঙ্গি অভিযানে জঙ্গিদের দ্বারা সৃষ্ট বোমা বিস্ফোরণে জেএমবি’র সদস্য আব্দুল্লাহ’র ঘনিষ্ট সহযোগী।
আলম একজন চায়ের দোকানদার। সে বিভিন্ন সময় সংগঠনের কাজে আব্দুল্লাহকে গাড়ি সরবরাহ করত। চলতি বছরের মে মাসের দিকে জঙ্গি বিল্লাল(২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার) আলমের মাধ্যমে ট্রাক সংগ্রহ করে সেই ট্রাক চালিয়ে তাদের নিকটবর্তী পুলিশি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করে স্বয়ং আব্দুল্লাহ।
সম্প্রতি ইউরোপে জঙ্গিদের গাড়ী হামলা কৌশলে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রেফতারকৃত আলমের সরবরাহকৃত গাড়ি দিয়ে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা গাড়ি চালানোর অনুশীলন করে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানীর ন্যায় এদেশে তাদের উদ্দেশ্য ছিল গাড়ি চালানো শিখে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি অথবা গাড়ী বোমা হামলা করা।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্য সদস্য সম্পর্কে মুফতি মাহমুদ বলেন: গ্রেফতারকৃত সুলতানা পারভীন (৫৫), আব্দুল্লাহ যে বাসায় ভাড়া থাকত সেই বাসার মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের স্ত্রী। সে আব্দুল্লাহর ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে যেয়ে এবং ছাদে উঠে প্রায়ই জঙ্গি সংগঠনের বিষয়ে আব্দুল্লাহর সাথে আলোচনা করত। এছাড়াও সে আব্দুল্লাহকে সংগঠনের জন্য বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আসিফুর রহমান আসিফ (২৫) সম্পর্কে কমান্ডার মুফতি বলেন, সুলতানা পারভীনের ভাইয়ের ছেলে আসিফ। আব্দুল্লাহর সাথে আসিফের ঘনিষ্ঠতা ছিল তাই সে প্রায় সময়ই আব্দুল্লাহর বাসায় যাতায়াত করত এবং জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলোচনা করত।
সে বিস্ফোরক তৈরীর জন্য আব্দুল্লাহর বাসায় বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল সরবরাহ করত। এছাড়াও সে তার বন্ধুর কাছ থেকে একটা ৯ এমএম পিস্তল এনে আব্দুল্লাহর নিকট সরবরাহ করতে চেয়েছিল। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় আব্দুল্লাহ পিস্তলটি গ্রহণ করেনি। সুলতানা পারভীন উক্ত অস্ত্রটি ক্রয়ের জন্য আব্দুল্লাহকে টাকা দিতে সম্মত হয়ে ছিল।