ব্যাংকের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা কেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এই ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, ব্যাকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, ফনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ফনিক্স ফাইন্যান্সের ঋণ গ্রহীতা মো. ইউনুস পাটওয়ারীর করা এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় ও আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ।
রিটের পক্ষের আইনজীবী জানান, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ঋণ গ্রহীতা মো. ইউনুস পাটওয়ারী এর আগে ফনিক্স ফাইন্যন্স ও বাংলাদেশ ব্যাংকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সুবিধা পেতে আবেদন করেন। তবে তাকে জানানো হয়, এ সুবিধা শুধু ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের জন্য প্রযোজ্য। এরপর ইউনুস পাটওয়ারীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। সে নোটিশের জবাব না পেয়ে শুধু ব্যাংক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ রুল জারি করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ সার্কুলার জারি করে। এতে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছর ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোচিত এই সার্কুলারের বিষয়টি একসময় উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এসংক্রান্ত এক শুনানিতে হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারকে ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।