২০২০ সালের আসরটি বদলে দিতে চলেছে কোপা আমেরিকার ইতিহাসকেই। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল, এই দুই ভাগে ভাগ করে নতুন যুগে পা ফেলতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল টুর্নামেন্টটি। স্বাগতিক করা হয়েছে দুই দেশকে। এক ভাগের দায়িত্ব পড়েছে আর্জেন্টিনার হাতে। আরেক অঞ্চলের স্বাগতিক হবে কলম্বিয়া।
মঙ্গলবার সাউথ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হয় ২০২০ কোপার আয়োজনকে। দক্ষিণাঞ্চলে খেলবে মোট ছয় দল। স্বাগতিক আর্জেন্টিনাসহ এভাগে আছে চিলি, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং একটি আমন্ত্রিত অতিথি দেশ।
উত্তরাঞ্চলের স্বাগতিক কলম্বিয়া। এভাগেও খেলবে মোট ছয় দল। বাকি দেশগুলো হল ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, পেরু এবং আরেকটি অতিথি দেশ।
প্রতি গ্রুপে ছয়টি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেরা চারটি করে দল টিকিট পাবে কোয়ার্টার ফাইনালের। সেখান থেকেই শুরু হবে নক-আউট পর্ব।
এ নিয়মে নতুন আসরে ম্যাচ হবে মোট ৩৮টি। আগের ফরম্যাটের চেয়ে তাতে ম্যাচের সংখ্যা ১২টি বেড়েছে। কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল শেষে টুর্নামেন্টের ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব থাকছে আর্জেন্টিনার কাঁধে।
আগামী বছরের আসরটি হবে ছয় বছরে চতুর্থ কোপা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সূচির ও সময়ের সঙ্গে মিল রেখে নতুন আসরটি আয়োজন করতে চান আয়োজকরা। তাতে খেলা উপভোগের সুযোগ থাকছে এশিয়ান দর্শকদের জন্যও।
কেবল কোপাতেই নয়, কনমেবল প্রথা ভাঙতে চলেছে কোপা লিবার্তোদোরেস আয়োজনেও। ছয় দশকের পুরনো ঐতিহ্য ভেঙে সাউথ আমেরিকান ঘরোয়া ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনাল এক ম্যাচে নিয়ে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে কনমেবলের কর্তারা।
আগে হোম-অ্যাওয়ে, দুই লেগে আয়োজন করা হতো ফাইনাল। এখন থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো নিরপেক্ষ মাঠে, এক ম্যাচে শেষ হবে কোপা লিবার্তোদোরেস শ্রেষ্ঠত্বের ফায়সালা। মূলত গত আসরে আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব- বোকা জুনিয়র্স ও রিভারপ্লেটের মধ্যকার ঝামেলাপূর্ণ ফাইনাল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ সিদ্ধান্তে এসেছে কনমেবল।