কয়েকদিনের অনিশ্চিত জীবনকে পেছনে ফেলে আসা অভিবাসীরা যেনো ফিরে পেয়েছে তাদের নতুন ঠিকানা। শনিবার জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্ত খুলে দিলে মিউনিখ এবং ভিয়েনায় পৌঁছায় হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী।
তবে অস্ট্রিয়া বলছে, হাঙ্গেরি থেকে বিশেষ ব্যবস্থায়, অবাধে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পশ্চিম ইউরোপ যাতায়াতের যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও অাছে। অসহায় অভিবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় নেয়া জরুরি পদক্ষেপ ধাপে ধাপে শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেমান।
রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথে ফোনে কথা বলার পর ওই ঘোষণা আসে। আর অস্ট্রিয়ান টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান অস্ট্রিয়াকে তার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
জার্মানি ও অস্ট্রিয়া অভিবাসীদের জন্য বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা করার পর সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছেছেন। সেখানে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিরাপদে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছে দেবেন তারা।
রোববার ১শ ৪০টি ব্যক্তিগত গাড়ির একটি বহর নিয়ে স্বেচ্ছাসেবীরা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের পথে ভিয়েনা ছাড়েন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেওয়া ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিফিউজি কনভয়’।
শিশু আয়লানের মৃত্যু যেনো পাল্টে দিয়েছে পুরো পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি। কদিন আগেও যারা অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজেদের দেশে প্রবেশ না করতে দেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন, তারাই তাদের সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
বৃটেনের পর এবার আরো অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট।
চলমান অভিবাসন সংকট সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটির প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরো ৬৫ হাজার সিরীয় অভিবাসন প্রত্যাশী নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
তবে অভিবাসীদের ঠেকাতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির জর্ডান সংলগ্ন সীমান্তে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে ইউরোপে অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় নিতে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে জড়ো হয় মানুষ। জুরিখে অভিবাসীদের সমর্থনে শান্তি মিছিলে দাঙ্গা পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়লে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
অভিবাসীদের সমর্থনে মিছিল হয়েছে কানাডাতেও।