কানাডা প্রবাসী প্রবীণ অভিনেতা আরিফুল হকের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এরপর তাকে দ্রুত হ্যামিল্টন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ এপ্রিল তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন বিপদমুক্ত হলেও তিনি স্বাভাবিক কথা বলতে পারছেন না। আরও আছে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা। কানাডা থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন আরিফুল হকের ছেলে সানজার আরিফ পিয়াল।
আরিফুল হকের বয়স এখন ৮৬ বছর। গত বছর ১১ অক্টোবর জন্মদিনের দিন কানাডা থেকে থেকে মুঠোফোনে বলেছিলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি। প্রতি মুহূর্তে দেশ, দেশের মাটি, মানুষকে খুব মিস করি। কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে আজ কানাডায় থাকতে হচ্ছে। জন্মদিনে সাধারণত আমি কিছু করি না। পিয়াল আমাকে নিয়ে বাইরে বের হয়, নানা ভাবে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাতেই খুশি হই।’
এ দেশের অসংখ্য মঞ্চ ও টিভি নাটকে এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেতা। তিনি ২০০০ সালে সপরিবারে কানাডায় স্থায়ী হন। ২০১২ সালে তিনি সর্বশেষ ঢাকায় এসেছিলেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লালন ফকির’, ‘সারেং বউ’, ‘বড়বাড়ির মেয়ে’, ‘সূর্য কন্যা’, ‘সুন্দরী’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘নতুন বউ’, ‘এখনই সময়’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘তোমাকে চাই’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘ঘৃণা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘মাটির ফুল’ ইত্যাদি।