করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চীনে থাকা আরও ১৭১ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ছাড়া আর কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চীনকে সব ধরনের সহায়তা করবে বাংলাদেশ।
চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং’র হাতে চিঠি হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সে সময় চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, করোনা ভাইরাস শনাক্তে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে পাঁচশ’ কিট পাঠানো হচ্ছে। আর চীনে কয়েক হাজার মাস্ক ও গ্লাভসসহ স্যানিটাইজিং উপকরণ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বাংলাদেশ চীন সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীন সরকারের অনুমতি পেলেই দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশিদের ফেরানো শুরু করবে সরকার। এই ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে চলমান চীনা প্রকল্পগুলোতে কোনো প্রভাব পড়ছে না বলেও জানিয়েছেন, তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চীন থেকে যদি বাংলাদেশিরা ফিরতে চায় তখন সরকার এ বিষয়ে প্রচেষ্টা শুরু করবে। বিষয়টি মূলত চীনের ওপর নির্ভর করে। কেননা নিরাপত্তার কারণে বর্তমানে দেশটির হুবেই প্রদেশের কেউই বের হতে পারছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর না করে স্থানীয়দের উন্নয়নে বিকল্প প্রস্তাব দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বহু গৃহহীন রয়েছে। আর ভাসানচর এলাকায় রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বহু সুযোগ।