দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭১১তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৮৭ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৯২৯ জন। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছিল চার হাজার ৭৪৬ জন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩২ হাজার ২০৭টি পরীক্ষায় তিন হাজার ৯২৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ ১০ হাজার ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৭৫৭ জনসহ মোট ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৬ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি ১৩, বেসরকারি দুই) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৮৭ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৪৯৬ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৫৭৫ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বাসায় ৭৮১ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭১। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪৪৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৪৪২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, বিশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরঊর্ধ্ব চারজন ও আশিউর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দু’জন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন ও রংপুর বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪১ কোটি ৬৪ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৩ কোটি ৯৩ লাখের বেশি।