করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে তারা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা পাবেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার করোনাকালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব।
আসাদুল ইসলাম বলেন: প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য আজই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই এই টাকাটা উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে।
তিনি বলেন: ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল, সেটার বিতরণ ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা মোকাবিলা করেছে, সেটা হল তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা) তথ্য ছিল না। এসএমই খাতের গ্রাহকদের সঙ্গে তাদের পরিচিতি কম।
‘এ কারণে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফের সঙ্গে অনেক আলোচনা হয়েছে। বড় এমএফআই (ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা), ক্ষুদ্র এমএফআইগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটা টিম করা হয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে এটি (প্রণোদনা প্যাকেজ) কেবিনেটে পাঠাবো। ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগ তাদের মতামত দিয়ে এটিকে যেনো অনুমোদন করে দেয়’, বলেন সিনিয়র সচিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন: পিকেএসএফ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে চলেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। আগে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিল, এখন সেটা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যও প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। পিকেএসএফের মতো প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা এবং সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন: সরকার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এরমধ্যে আড়াইশো কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরও আড়াইশো কোটি টাকা দু-একদিনের মধ্যে পাওয়া গেলে, সেটাও বিতরণ করা হবে।
মাঠ পর্যায়ে পিকেএসএফের ৬২ জন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন: আমাদের কর্মীরা যারা মাঠে কাজ করেন তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।