আরও ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন পরিকল্পনায় হাঙ্গেরির আপত্তির মুখেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। হাঙ্গেরিতে অবস্থানরত শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী সার্বিয়ার সীমান্তের কাছে হাঙ্গেরির পুলিশ লাইন ভেঙ্গে রাজধানী বুদাপেস্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিবাসন সংকটে ভুগছে ইউরোপ। অস্ট্রিয়ার অভিবাসী না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আবারো অনিশ্চিয়তায় অভিবাসন-প্রত্যাশীরা। বুধবার ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট অভিবাসীদের আশ্রয়-সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব করবেন।
এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, তার দেশের ওপর অভিবাসীদের চাপ ভবিষ্যতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আবাসন ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হবে জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্য দেশকেও সহায়তার আহ্বান জানান তিনি। জার্মান চ্যান্সেলরের আহবানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তাদের দেশে আরো অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অস্ট্রিয়ায় আর অভিবাসী না নেয়ার সিদ্ধান্তের পর হাঙ্গেরির একটি নিবন্ধন শিবির থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ পিপার স্প্রে করে পরিস্থিতি সামলায়। স্পেন এবং মেসিডোনিয়াতেও অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
ইজিয়ান সাগর থেকে সোমবারও ৬১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে গ্রিক কোস্টগার্ড সদস্যরা। অভিবাসী সমস্যা মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি অর্থসাহায্য চেয়েছে গ্রিস।