আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় নিভৃত আম্রকাননে শপথ নেয় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ২১৪ বছর পর তেমনই এক আম্রকাননে লেখা হয়েছিল বাংলার ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়।
একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার তৎকালিন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলায় ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার।
বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে শপথ নেয় মন্ত্রিসভা।
এ বছর মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেন।
এরপর ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
সকাল ৯ টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে মন্ত্রীবর্গ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, স্কাউটস এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীগণ কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান এবং কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হবে। কুচকাওয়াজের পর পরই আনসার ও ভিডিপি অধিদপ্তর কর্তৃক দিবসটির সাথে প্রাসঙ্গিক ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ শিরোনামের গীতিনাট্য উপস্থাপন করা হবে।
সকাল ১০.৪৫ মুজিবনগর শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সরকারের মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
১৭ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রের মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া বিশেষ দিনটি উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।