দুই বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার আগেই কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ নয় দাবি করে তাদেরকে সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দিয়েছিলো। এর কয়েকদিন পর শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সতর্কবার্তা প্রথমে নমনীয় করে, তারও কয়েকদিন পর সেই বার্তা স্থগিত করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সতর্ক বার্তা তুলে নেয় তারা।
এর বাইরে কানাডিয়ান হাইকমিশন, ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং জাপান দূতাবাস এখনো তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা প্রত্যাহার করেনি।
তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত একমাত্র আপনার (যিনি ভ্রমণ করবেন)। তবে ইতালিও তাদের নিরাপত্তা সতর্কতা নির্দেশ শিথিল করেছে।
ঢাকায় টাভেলা সিজার ও রংপুরে হোসি কুনিও হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইতালি। এরপর একমাত্র আমেরিকা ও ইতালি তাদের দূতাবাসের পেজে নিরাপত্তা সতর্কতা তুলে নেওয়ার কথা জানায়।
বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে এ বিষয়ে বলেন, যে কোনো দেশ তাদের নিজেদের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা নির্দেশ দিতেই পারে। এটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি, পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশে যেসব বিদেশী নাগরিক আছে তারা এখন অনেকটাই স্বচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন অনেকেই আবার স্বচ্ছন্দে বাইরে আসছেন, ঘুরছেন, হাঁটছেন। তারা বলছেনও তারা স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন।
‘এমনকি বেশ কিছু দূতাবাস থেকেও একথা জানানো হয়েছে। এমন নানান ছবি গণমাধ্যমেও এসেছে। তবে পরপর ঘটে যাওয়া ঘটনা দুটির পরে আমরা আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছি। বিদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি,’ বলে মন্তব্য করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মুখপাত্র।