শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ১৯তম আসর। আর এই উৎসবে জুরি হিসেবে (এশিয়ান ফিল্ম কম্পিটিশন) দায়িত্ব পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
প্রথমবার এমন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত এই অভিনেতা। জানালেন নিজের অনুভূতির কথা।
দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উৎসব পরিচালকসহ আয়োজক ও নির্মাতাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে মঞ্চে ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও।
এমন দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। আমি এই প্রথম এমন একটি চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি বোর্ডে জায়গা পেয়েছি বলে নয়, বরং উৎসব পরিচালক মুজতবা ভাই আমাকে এই জায়গায় ভেবেছেন, এজন্য আমি গর্বিত।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রের সাথে আছি বলে অনেক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি, হয়তো কিছু শিখতেও পেরেছি। আসলে আমি সিনেমা দেখতে ভালোবাসি, সিনেমাকে ভালোবাসি। সেই জায়গা থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি বোর্ডে জায়গা পাওয়াটাকে আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি। আমি চেষ্টা করবো, যতোটুকু সচেতনতা দিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করা যায়, সেটা ঠিকঠাকভাবে করা।
স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেতা আরো বলেন, আমার চলচ্চিত্রে আসার পেছনে বড় একটা কারণ ছিলো ‘ফেস্টিভাল’। কারণ শৈশবে যখন দেখতাম সিনেমা নিয়ে আমজাদ হোসেন, ববিতা আপারা দেশ বিদেশের ফেস্টিভালগুলোতে যাচ্ছেন, তখন আমার মনে হতো- এভাবে যদি যাওয়া যায় সিনেমা নিয়ে! পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি কিন্তু ঠিকই ফিল্ম সোসাইটিগুলোতে নাম লেখাই। মনে আছে খুব কষ্ট করে ফেস্টিভালের আয়োজনও করেছিলাম আমরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার দেখানো হবে দেশ বিদেশের ২২৫টি সিনেমা! বরাবরের মত এবারের উৎসবেও থাকছে এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার বিভাগ। তবে উৎসবে এবারই প্রথম সংযুক্ত হচ্ছে ‘লিজেন্ডারি লিডারস হু চেঞ্জ দি ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘ট্রিবিউট’ নামে আরো দু’টি নতুন বিভাগ।
উৎসব পার্টনার হিসেবে আছে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, নরওয়েজিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হাগুসেন্ড, রিলিজিওন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ঢাকা ক্লাব লিমিডেট, বালিক আর্ট, চ্যানেল আই, দুরন্ত টিভি, একাত্তর টিভি, একশন এইড, ক্লাউড লাইভ, লাগ ভেলকি এবং সেন্স ফর ওয়েভ।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানগুলো হলো- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, শিল্পকলার নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ), বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং সীমান্ত স্কয়ার সিনেপ্লেক্স।