‘ব্যাপারটা খুবই সহজ। আগে কিংবা পরে যখনই হোক না কেন, আমাদের কাইলিয়ান এমবাপেকে ছাড়া খেলতে অভ্যস্ত হতে হবে। যখন তাকে খেলাতে চাই, তাকে খেলাব। আর যখন খেলাব না, বিষয়টা একইরকম হবে। এটি সবার জন্য একটা বার্তা। যদি মনে করেন, এমন একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনা করব যে মাঠে ঝিমিয়ে পড়ছে, আমি তেমনটা নই।’
লিগ ওয়ানের ম্যাচে স্টেড রেনের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ তারকা এমবাপেকে খেলার মাঝে বেঞ্চে বসানো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেছেন পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে।
পার্ক ডে প্রিন্সেসে রোববার ম্যাচের ৬৫ মিনিটে এমবাপের পরিবর্তে গঞ্জালো রামোসকে মাঠে নামান এনরিকে। পিএসজি কোচের এ কৌশল ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
আমিন গৌরির লক্ষ্যভেদে ৩৩ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ফরাসি জায়ান্ট দলটি। নির্ধারিত সময় শেষেও স্বাগতিকরা পিছিয়ে থাকায় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল। রেফারির শেষ বাঁশির আগমুহূর্তে পিএসজির ত্রাণকর্তা হন গঞ্জালো রামোস। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে বল জালে জড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন সুপার সাব। খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়।
এনরিকে অবশ্য এটিও পরিষ্কার করেন যে কোন খেলোয়াড়কে তিনি দলের ভেতরে আলাদা দৃষ্টিতে দেখছেন না। পুরো দল স্বাভাবিকের চেয়ে কম অনুপ্রাণিত ছিল না বলেও দাবি তার।
‘আমার খেলোয়াড়দের মনোভাব নিয়ে আনন্দিত। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে তাদের ছেড়ে দিতে যাচ্ছি, সেটা করব না। ম্যাচের পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েছিলাম। ডেম্বেলেকে নামাতে চাইনি। ভেবেছিলাম তার ব্যথা রয়েছে।’
‘আমি সৌভাগ্যবান যে প্রায় ২০ জন অত্যন্ত উচ্চমানের খেলোয়াড়কে কোচিং করাতে পেরেছি। এটাই চাই যে, তারা বুঝতে পারুক, প্রতি মিনিটে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা চাই। চাই প্রত্যেক খেলোয়াড় তার খেলার সময় উপযুক্ত হোক। চাই আমার খেলোয়াড়রা নিজেদের বলুক, যখন শুরুর একাদশে থাকি, তখন আমাকে সুযোগটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে হবে।’