‘হাবিবের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর আমি কেন রেহানকে ভয়ভীতি দেখাব?’ বললেন ছোট পর্দার তারকা তানজিন তিশা। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের প্রাক্তণ স্ত্রী রেহান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ‘আমাদের ডিভোর্সের আগে থেকে হাবিবের সঙ্গে তানজিন তিশার যোগাযোগ। ও হাবিবের গানের মডেল ছিল। তার পক্ষ নিয়ে হাবিব আমার সাথে অনেক ঝগড়া করেছে। বলতে লজ্জা নেই, তারা লিভ টুগেদার করতো। কেউ কেউ তো এটাও বলছে, তারা নাকি বিয়ে করেছে। আর ইদানিং তিশা আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’
২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের মেয়ে রেহান চৌধুরীকে বিয়ে করেন হাবিব ওয়াহিদ। আর তাদের বিয়েটা হয়েছিল হাবিবের মা রোখসানা ওয়াহিদের পছন্দে। ২০১২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ছেলের বাবা হন হাবিব। তাদের ছেলের নাম আলিম। এ বছর ১৯ জানুয়ারি হাবিব ওয়াহিদ ও রেহান চৌধুরীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
হাবিব ওয়াহিদ এখন আছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। গতকাল শনিবার রাতে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তানজিন তিশার কারণে আমার সাথে রেহানের ডিভোর্স হয়, কথাটি ঠিক নয়। কারণ এক হাতে তালি বাজে না। তানজিন তিশার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক, সেটা একন্তই আমার ব্যাক্তিগত বিষয়।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ডিভোর্সের কয়েক মাস পর এসব কথা কেন রেহান বললো, এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ যা–ই হোক না কেন, আমি তো জোর করে ডিভোর্স দিতে বলিনি তাকে। যা গয়েছে, সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে। তাহলে এখন এত কাদা ছোড়াছোড়ি কেন? এসব করে কারও কোনো লাভ দেখি না।’
এদিকে আজ রোববার দুপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তানজিন তিশা। তিনি লিখেছেন, ‘হাবিবের স্ট্যাটাসের পর অনেকে যা বোঝার বুঝে যাওয়ার কথা। হাবিবের সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু আমি তা বলব না। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তার যদি হাবিবের সঙ্গে এতই সমস্যা থাকে, তাহলে ডিভোর্সের সময় বা তার আগে কেন বলল না। আর সমস্যা থাকলে তো মিউচুয়ালি ডিভোর্স হওয়ার কথা নয়। এখন যদি হঠাৎ করে এসব কথা ওঠানো হয়, এটা কাদা ছোড়াছুড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। আর হাবিবের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর আমি কেন রেহানকে ভয়ভীতি দেখাব?’
তানজিন তিশা আরও লিখেছেন, ‘একটা সময় কিন্তু রেহানের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। সেটা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে চলে যায়।’
তবে হাবিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে রেহান যে অভিযোগ করেছেন, এ ব্যাপারে তানজিন তিশা বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে কথা বলব না। আমি বলতে চাইও না। তবে আমি এটা বলতে চাই, রেহানের সঙ্গে যদি আমার কিছু হয়েই থাকে, তাহলে সে তার সাবেক স্বামীকে বলবে। আমার সঙ্গে কেন খারাপ ব্যবহার করবে?’