চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমির খসরুর অডিও রেকর্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যা বললেন

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ‘অডিও রেকর্ড’ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

রোববার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের যে কাজ, তারা নিজেরাই তৈরি করে তা প্রকাশ করে দেয়। আন্দোলনগুলোকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য এসব করছে সরকার৷ আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কী বলেছেন আমি শুনিনি। যতো দূর বলেছেন হয়তো এরকম, ‘বসে আছো কেন, ছাত্রদের সঙ্গে নেমে পড়ো’। এই কথা কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে তাওতো অডিও রেকর্ডে বলা হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, যদি তিনি রাস্তায় নেমে ছাত্রদের সহযোগিতা করতে বলেও থাকেন তাতে অপরাধ কী করেছেন? দেশের সব মানুষই তো ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছে। আমরাও দল থেকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছি৷ সংবাদ সম্মেলন করেই সমর্থন জানিয়েছি।

এসময় তিনি আমির খরুর বাসায় গত রাতে পুলিশি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমির খসরুর বাসায় পুলিশি হামলা আমাদের দলের উপর এবং গণতন্ত্রের উপর হামলা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিদা জানাচ্ছি এবং তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রকৃতপক্ষে এরা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। তারা মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি স্বৈরাচারী, সন্ত্রাসী দল। এদের কাছে ছাত্রছারীর কোনো মূল্য নেই। এরা সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি কূটনৈতিকদেরও আক্রমণ করছে। কেউ এদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের উপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করতে পারছে না সরকারকে। তাই তারা রাস্তায় নেমে এসেছে। ছাত্রছাত্রীরা জীবনের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষণীয় আন্দোলন করেছে, এটি যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা দল থেকেই প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছি। দেশের সকল মানুষ সমর্থন দিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের, পুলিশ সবাই সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিএনপির নেতাদের জড়াতে চায় সরকার। তাদের একটিই উদ্দেশ্য যে ছাত্রছারীদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করা। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা সন্ত্রাসকে কোনো সময় প্রশ্রয় দিইনি, দেবনা।

ফখরুলের দাবি, গতকাল ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডারেরা নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশের কাছে আশ্রয় নিতে গেলেও আশ্রয় দেয়নি পুলিশ৷ তাদের মেরে আহত করা হয়। সোসাল মিডিয়ায় জেনেছি, বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে। শুনেছি ৪ জন মারাও গেছে। এসব অসমর্থিত সূত্র। আমরা শুনেছি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি বলছে, প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। শুনেছি, ৭ জন মেয়েকে আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। পুলিশের উপর নির্ভর করে এরা টিকে আছে। এরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এদের হাতে জনগণ ও রাষ্ট্র নিরাপদ নয়। আমরা আহ্বান জানাই যে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পতন করতে হবে।