চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না’

স্নাতক সম্পন্ন করে যা বললেন আশনা হাবীব ভাবনা

অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন। ইংল্যান্ডের ওয়েলসে অবস্থিত গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে ‘বিজনেস’ বিষয়ে জনপ্রিয় এ তারকা কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

গত নভেম্বরে শেষ হয়েছিল ভাবনার গ্রাজুয়েশনের আনুষ্ঠিক কার্যক্রম। বুধবার (১১ মে) সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবনা গ্রহণ করেন গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট। লন্ডনে উপস্থিত থেকে মাথায় হ্যাট আর গায়ে কালো গাউন পরে নিজের কাঙ্খিত সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ ছবির এ অভিনেত্রী।

ভাবনা সেখনাকার একগুচ্ছ ছবি উচ্ছ্বাস নিয়ে তার ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। বন্ধু-শুভাকাঙক্ষী আর ভক্তদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। ভাবনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাও!

সমাবর্তনে থাকার পর ভাবনা তার ফেসবুকে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়ে তার বাবা-মা ও বোনের সাপোর্ট করার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, জীবনে আমি অনেকবার মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছি তবুও যেন পরিবারের অন্যরা সব সময় আমার মা-বাবাকে আমার পড়াশোনা নিয়ে একটু খোঁচা কথা বলতে ছাড়তো না। কারণ মেয়ে নাচ করে, অভিনয় করে, পড়াশোনা তো আমাকে দিয়ে হবেই না! আমার মা-বাবা আমাকে জীবনে কোনদিন ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার জন্যে বলেনি। সব কিছুতেই আমার মা-বাবা আমার পাশে ছিল সবসময়। যতবার আমি হেরে যাই আম্মু আব্বু আমাকে সাহস দেয়।

ভাবনা আরও যোগ করে লেখেন, ‘আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না। অনেক কাজ মিস হয়েছে, অনেক কঠিন হয়েছে স্পেশালি এই করোনার সময়, তবু ও আমি লেগে ছিলাম শুটিংয়ের সময় ও অনলাইনের ক্লাস মিস করিনি। আমার মা-বাবা, আমার বোন যাদের কারণেই আমার মনে হয়েছে পড়তে হবে। আমার বোন না থাকলে যে আমার যে কি হতো আমি ভাবি মাঝে মাঝে। আমার লন্ডন স্কুল অব কর্মাস, ঢাকার সকল শিক্ষকেরা যাদের জন্যে আমার লেখাপড়ার পথ সোজা হয়েছে।

ভাবনা জানান, ২০১৭ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যে গিয়ে ওয়েলসের ওই ইউনিভার্সিতে ভর্তি হন তিনি। সেখানে আগে দুইবার গিয়ে অনেক দিন থেকেছেন, ক্লাস করেছেন। সব মিলিয়ে সেখানে থেকে দুই বছর পড়ার সুযোগ পান। এরপর করোনার কারণে বাকি দুই বছর দেশে থেকেই অনলাইনেই ক্লাস করেন। নিজের কাজ-অভিনয় সব কিছু ম্যানেজ করে পড়াশোনা চালানো তার জন্য অনেক কঠিনই ছিল। তবে ফল হাতে পাওয়ার পর সব কষ্ট ভুলে গেছেন। আজ তিনি ভীষণ আনন্দিত!

বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ২০১০ সালে এসএসসি এবং ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ওয়েলসে অবস্থিত গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে ‘বিজনেস’ বিষয়ে এই ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।