‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হতে না পারলেও ভেঙে পড়েননি মিয়ামি। বরং আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললেন: ‘আমার জগতে আমিই ‘মিস ওয়ার্ল্ড’।
মিয়ামি হলেন সদ্য শেষ হওয়া এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ। তার মতে, তিনি যদি ওই প্রতিযোগিতায় না যেতেন তাও এটাই মনে করতেন! প্রতিটি মানুষের এই চিন্তাই থাকা উচিত।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র শীর্ষ পর্যায়ে যারা ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই ভালো ছিল। সবাই তো আর বিজয়ী হতে পারে না! এটাই মেনে নিতে হবে। এগুলো মাথায় নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে,’ এসব কথা যিনি বলছিলেন তার ডাকনাম মিয়ামি হলেও পুরো নাম ফাতিহা খূল্দ মিয়ামি।
তার শৈশব ও কৈশোরের বেশিরভাগ কেটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ঢাকায়। এছাড়া বাবা-মা দু’জনের সরকারি চাকরির সুবাদে মিয়ামি ঘুরেছেন দেশের অনেক জায়গা। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে এই নবীন তারকা জানান: একেবারেই মজা করে তিনি এবারের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেন।
তিনি জানান: ‘অফিসিয়াল পেজ, ইনস্টাগ্রাম ফলো করতাম। সেখানে থেকেই এই আয়োজন সম্পর্কে জেনেছি। মজা করেই নিবন্ধন করেছিলাম। বিজয়ী আমাকে হতেই হবে এমন কিছু মাথায় ছিল না। জার্নি কেমন এবং কোনো নতুন অভিজ্ঞতা হয় কিনা বোঝার জন্যই অংশ নিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে জীবনে এই প্রথম কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম।’
মিয়ামি বলেন: আমি প্রতিযোগিতা করতে সেখানে যাইনি। নতুন কিছু শিখতে গিয়েছিলাম। ফলাফল ঘোষণার পর এখন মনে হচ্ছে ইশ! আরেকটু যদি ভালো করতাম, যদি আরও সিরিয়াস থাকতাম তাহলে হয়তো আরও ভালো কিছু ঘটতে পারতো। তবে আমার মধ্যে এটা নিয়ে কোনো কষ্ট নেই। কারণ, আমি অভিজ্ঞা ও কিছু শিখতে গিয়েছিলাম। আমি অনেককিছু জেনেছি, শিখেছি যেগুলো আমার পরবর্তী চলার পথে কাজে লাগবে।
নাটক নাকি সিনেমা, কোথায় কাজ করতে চান? মিয়ামি বলেন: ফ্যাশন-মডেলিংয়ে টুকটাক কিছু কাজ করেছি। গতবছর থেকে আড়ং, রেড অরিজিন, দেশি দশ, রঙ, ইয়োলোসহ বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজের মডেল হয়েছি। আজরা মাহমুদের কাছ থেকে গ্রুমিং করে র্যাম্পেও হেঁটেছি। নাটক নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই। তার চেয়ে সিনেমা নিয়ে আমার মধ্যে ফ্যান্টাসি আছে। তবে সেটা মানসম্মত কাজ হতে হবে। আগে থেকেই সিনেমায় কাজের অফার পেয়েছি। কিন্তু আমি ওভাবে আগে চিন্তা করিনি। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে আসার পর এখন মনে হচ্ছে কাজ করা যেতে পারে। আমি অভিনয়ের দিকে ঝুঁকতে চাই। অভিনয়ে আমার সেভাবে জানাশোনা নেই। তাই শিগগির অভিনয়ের উপর কোর্স করবো।
২০০৪ সালে শিল্পী জাতীয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সিলভার পদক পেয়েছিলেন মিয়ামি। পরে তিনি কারাতে প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে বোঞ্জ পদক অর্জন করেন। একটি বেসরকারি মেডিক্যাল থেকে গতবছর এমবিবিএস পাশ করেছেন মিয়ামি। শেষ করেছেন ইন্টার্নশিপও। কিছুদিনের মধ্যে যেকোনো মেডিক্যালে যোগ দিতে পারেন! ইচ্ছে আছে পোস্ট দেশের বাইরে থেকে গ্রাজুয়েশন করার।
মিয়ামির কথা: ‘ডাক্তারি পেশা আমার কাছে একদম ফেক মনে হয় না। ছোটবেলা থেকে এটাকে স্বপ্নের পেশা মনে করেছি। বড় তারকা হবো এই স্বপ্ন ছিল না, কিন্তু ডাক্তার হবো এই স্বপ্ন সবসময় ছিল। সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে কিছু একটা ফলাফল যেহেতু এসেছে, তাই আমি এখন মিডিয়াতে কাজ করতে চাই। বুঝে শুনে ধীরে ধীরে আগাতে চাই। তবে ডাক্তারি পেশা থেকে দূরে যেতে পারবো না। মিডিয়াতে কাজ, ডাক্তারি দুটোই চালাতে চাই। আমি আসলে সবক্ষেত্রে ‘পারফেকশনিস্ট’ হতে চাই।