গত মৌসুমে মাত্র এক ম্যাচ খেলে শেষ হয়েছিলো তার প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। এবার সেই জোবায়ের হোসেন লিখনই লিগের প্রথম দিনের নায়ক। কলাবাগনের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করে লিখনই আবাহনীকে এনে দিয়েছেন ৭ উইকেটের বড় জয়। ফতুল্লায় অসাধারণ পারফরমেন্স দেখানো লেগ স্পিনার কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ঘরোয়া লিগে এমনিতেই আমি কম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। তাই এবার চেষ্টা করেছিলাম পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগাতে। আর শুরুটা যখন আল্লাহর রহমতে ভালো হলো, তাই আশা করছি আগামী ম্যাচটাও আমি খেলবো।
ঘরোয়া লিগে অনিয়মিত হওয়ায় গত বছর অনেক কথা উঠেছিলো লিখনকে নিয়ে। সে সময়ের আবাহনী কোচ সারওয়ার ইমরানের ‘অপছন্দ’ আর সে কারণেই দলে জায়গা পেতেন না তিনি -এমন কথা শোনা যায় ক্রিকেট অঙ্গনে।
বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের খুব পছন্দ জোবায়ের হোসেন লিখনের বোলিং। তাই তাকে নিয়ে দুটো ভাগ রয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়, লিখন সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলেন। সেসব প্রশ্নে উত্তর দেন আবাহনীর এই লেগী।
তিনি বলেন, কে কী বলেন আমি জানি না। আমি শুধু আমার বোলিংটা বুঝি। তাছাড়া এটা আমি এবং আমার টিমমেটদের মোটামুটি সবাই জানে যে, আমার ইংরেজি খুব একটা ভালো নয়। তাই এটাতো অসম্ভব যে, শুধু কথা দিয়ে হাথুরুসিংহকে বুঝিয়ে বাংলাদেশ দলে স্থান পাকা করবো। পারফর্মেন্সও দিতে হবে। সুতরাং এসব কথা ঠিক না। তবে শুধু হাথুরুসিংহে কেনো, বাংলাদেশ দলের সব সিনিয়র ক্রিকেটারের কাছ থেকেও আমি আল্লাহর রহমতে সব সময় ভালো সাপোর্ট পাই। তাই এসব কথা আমি গায়ে মাখি না।
প্রথম ম্যাচে এমন সাফল্য, তাহলে এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন কি লিখনকে নতুন করে প্রমাণ করার সুযোগ দিচ্ছে? এর উত্তরে লিখন বলেন, খেলা শুরুর পর থেকেই নিজেকে শুধু প্রমাণ করেই যাচ্ছি। সব জায়গায়ই প্রতিভার প্রমাণ দিতে হচ্ছে। তাই চেষ্ট করি সুযোগগুলো কাজে লাগানোর।
লিখন বলেন, লিগের প্রথম ম্যাচের এই সাফল্য আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তাই চেষ্টা করবো প্রিমিয়ার লিগের সেরা পাঁজ জন বোলারের মধ্যে নিজের নাম দেখা।