ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লড়েছেন ইনজুরির সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগে ছিল হাঁটুর চোট। সব প্রতিবন্ধকতা পাশ কাটিয়ে তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত হতে শুরু করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একের পর ইনজুরিতে মাঠের খেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন এই ডানহাতি পেসার।
কোমড়ের চোট থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড সফরে। ফিরতে হয়েছে চোট নিয়ে। ডান হাতের তালুতে চোট পাওয়া তাসকিনের সুস্থ হতে লাগবে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ।
মঙ্গলবার চতুর্থ আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচে ৫ ওভার বোলিং করার পর থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করার সময় বল লেগে তালু ফেটে যায় তাসকিনের। লাগে দুটি সেলাই। দুই মাস আগে একই জায়গা ফেটেছিল। তখন লেগেছিল ৬ সেলাই। রোববার বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীকে হাত দেখাতে আসেন তাসকিন। পরে জানান ইনজুরির খবর।
বার বার ইনজুরিতে পড়ায় আক্ষেপ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমার আশেপাশের মানুষদেরই আফসোস হচ্ছে। আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বন্ধুরা সবাই আফসোস করছে। আমার কেমন অনুভব হচ্ছে সেটা আমি ভালো জানি। তবে এসব জীবনের অংশ, আর আহামরি কিছু তো হয়ে যায়নি। বয়স আছে সামনে ভালো করার।’
তাসকিন প্রায় চার মাস ভুগেছেন মেরুদণ্ডের ব্যথায়। ইনজেকশন পুশ করার পর সুস্থ হয়ে বল হাতে নেন নতুন উদ্যমে। কোমড়ের চোট থেকে সুস্থ হলেও ধানমন্ডিতে অনুশীলনের সময় বলের আঘাতে ফেটে যায় তালু। সেই তালুতেই আবার নতুন আঘাত! দুর্ভাগ্য সরে গিয়ে সুসময়ের অপেক্ষায় এই তরুণ।
‘আমি বলতে চাই না সামনে আমার অনেক সময় আছে। পেস বোলার হিসেবে আমাদের প্রতিটা মাস গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়টা চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না। আমি চাই সবসময় খেলার মধ্যে থাকতে, ভালো করতে। কিন্তু শেষ এক বছর ধরে ইনজুরি নিয়ে খেলে যাচ্ছি, সব মিলিয়ে একটু খারাপ গেল। আমি এখন ভালো সময়ের অপেক্ষায় আছি। আমি আমার মত কঠোর পরিশ্রম করে যেতে পারি, বাকিটা…।’
শ্রীলঙ্কায় নিধাস ট্রফি খেলার সময় মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চোট পান তাসকিন। দেশে ফিরে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে চিকিৎসার আওতায় আসেন। চলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। ফর্ম ও ইনজুরির কথা ভেবে তাকে আফগান সিরিজের দলে রাখেননি নির্বাচকরা।
পুরোদমে বোলিং শুরু করতে না পারায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলেও বিবেচিত হননি তাসকিন। সুযোগ এসেছিল আয়ারল্যান্ডে। কিন্তু তালুর চোটে আবারো চলে গেলেন ক্রিকেটের বাইরে।