আসছে ৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে মাঠে গড়াচ্ছে এবারের অ্যাশেজ। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সিডনিতে নামলেই অ্যালিস্টার কুককে ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলবেন জো রুট।
এবছর এখন পর্যন্ত ১২ টেস্ট খেলা রুট ৬৬.১৩ গড়ে ১,৪৫৫ রান করেছেন। যা চলতি পঞ্জিকাবর্ষে সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে তাকে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোহিত শর্মা করেছেন ৯০৬ রান।
গত একদশকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জিততে না পারার আক্ষেপ ইংলিশদের তাড়িয়ে ফেরে। সবশেষ সফরে অজিদের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবেছিল তারা। এবারের সফরে ব্যতিক্রম কিছু করতে মরিয়া রুটরা। যা অধিনায়ক হিসেবে জো রুটের জন্যও বাড়তি চ্যালেঞ্জের।
ব্যাটার হিসেবেও রুটকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে স্বরূপে পাওয়া যায়নি আগে। ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৫০.১৫, সেখানে ক্যাঙ্গারু ডেরায় এই ইংলিশম্যানের গড় ৩৮! ৯ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ৬টি ফিফটির পিঠে নেই কোনো সেঞ্চুরি, রান মোটে ৫৭০। ইংল্যান্ড যদি এবার অ্যাশেজ নিয়ে ফিরতে চায়, রুটের ভালো পারফরম্যান্স করাটা জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজের দুঃসহ স্মৃতি যে রুটকে তাড়া করে বেড়ায় সেটিও অবশ্য খোলাসাই। নিজেই বলেছেন সেই সত্যিটা। আসন্ন সিরিজটি তার অধিনায়কত্বের ভাগ্যও নির্ধারণ করে দেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
‘দেখেন, ইংলিশ অধিনায়ক এবং দলের জন্য কয়েকবছর ধরে এটি বেশ কঠিন ছিল। অবশ্যই এই সিরিজ আমার অধিনায়কত্বের পরীক্ষা নেবে। আমরা জিতব না এটা ভাবার মতো নির্বোধ আমি নই। অবশ্যই দারুণ সুযোগ আছে।’
ইংলিশরা বড় মঞ্চে জিততে প্রস্তুত কিনা, এমন প্রসঙ্গে রুটের ভাষ্য, ‘এটা হতেই হবে। আপনি কিছু খেলোয়াড়, কিছু ব্যক্তি, কিছু পারফরম্যান্সের দিকে তাকান, দেখবেন সিনিয়র খেলোয়াড়রা বারবার জয়ে ভূমিকা রেখেছে। জুনিয়ররা কী করতে পারে সেই সম্ভাবনা দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি সিরিজ জেতার চেয়ে আর কি ভালো হতে পারে। আমি একজন অ্যাশেজ খেলোয়াড় এবং এই বিশাল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাই।’