২২ মার্চ ছিল বিশ্ব পানি দিবস। সারাদেশে পানি প্রাপ্তির চিত্র নিয়ে এদিন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসমূহ নানা আয়োজন করে। বলা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কেবলই বাড়ছে। নিরাপদ পানির উৎসসমূহ বিপন্ন হচ্ছে। প্রয়োজন ভূ-উপরস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির সমন্বিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, পানি বিশেষজ্ঞ হাসিন জাহানের সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন চ্যানেল আই অনলাইনের পক্ষে জাহিদ রহমান।
চ্যানেল আই অনলাইন: বিজয়ের ৫০ বছরে আমরা দেখলাম দারিদ্র্য বিমোচনে প্রশংসনীয় সব অগ্রগতি। উন্নয়ন ও অগ্রগতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলেছে। এই ধারাবাহিকতায় পঞ্চাশ বছরে সর্বসাধারণের জন্য পানি প্রাপ্তির সার্বিক চিত্রটা কেমন?
হাসিন জাহান: প্রথমত বলবো সার্বিকভাবে পানি পাওয়া বা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি এটি জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম ফর ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন (জেএমপি)’র হিসাব। পানি পাওয়া বা প্রাপ্তির মধ্যে তেমন একটা সমস্যা নেই। এটাতো সত্য, একসময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন মহল্লা ও প্রান্তে পানির জন্য হাহাকার দেখা যেত। সেই করুণ চিত্র এখন নেই। বরং এখন বলা হয় ঢাকা শহরে প্রয়োজনের তুলনায় পানি বেশিই উৎপাদন করা হচ্ছে। এই দাবিকে আমলে নিয়েই বলবো যখন আমরা এসডিজি অর্জনের কথা বলবো তখন কিন্তু কয়েকটি বিষয় ভাবতে হবে।
প্রথমত ভাবতে হবে পানির গুণগত মান এবং এই পানি প্রাপ্তির ভবিষ্যত কী? বলতে চাচ্ছি সামনের ঝুঁকির বিষয়গুলো। এই আঙ্গিকে যদি আমি বলি তাহলে বলবো পানি ও পানি প্রাপ্তির গুণগত মান অর্জন করতে হলে আমাদেও আরও অনেক দূরে যেতে হবে। এই কথা বলছি কয়েকটি পেছনের কারণে। দেখুন, আর্সেনিক নিয়ে কিন্তু এখন তেমন একটা আলোচনা হয় না। তাহলে আমরা কি বলবো পানিতে এখন আর্সেনিক নেই? তা নয় কিন্তু, পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি আছে। হ্যাঁ এটা ঠিক সার্বিকভাবে ডায়াগনসিস না হওয়ার কারণে হয়ত আমরা বলতে পারছি না কী পরিমাণ মানুষ আর্সেনিকের কারণে নানান রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে এলজিআরডিকে ধন্যবাদ যে, আর্সেনিক মুক্ত পানি নিশ্চিতকরণের জন্যে বড় ধরনের একটা প্রকল্প নিয়েছে। এতে প্রামাণিত হয় যে, আর্সেনিক মুক্ত পানি পাওয়ার চেষ্টাটা চলমান আছে। আমি মনে করি এটিকে আসলে আরও মজবুত করা প্রয়োজন। শুধু আর্সেনিক নয়, পানিতে আয়রন, ম্যাঙ্গোনিজের উপস্থিতি আছে। এগুলো ভবিষ্যতে কী ঝুঁকি তৈরি করবে সেগুলো নিয়েও ভাবতে হবে। একই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে ভুগর্ভস্থ থেকে পানি যত বেশি উত্তোলন করা হবে তত বেশি জিওজেনিক কন্টামিনেশনের ঝুঁকি থাকবে। আমরা অনেক জায়গাতেই দেখতে পেয়েছি পানিতে ম্যাঙ্গোনিজ পাওয়া গেছে। ম্যাঙ্গোনিজ কিন্তু সদ্যপ্রসূত বাচ্চাদের নার্ভ সিস্টেমের উপর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করে। আরেকটি বিষয় বলি গ্রাউন্ড ওয়াটার কিন্তু পুরোপুরিই সারফেস ওয়াটারের সাথে কানেক্টেড। সুতরাং আমরা যদি সারফেস ওয়াটার পলিউশন মুক্ত রাখতে না পারি আমি ভবিষ্যতে গ্রাউন্ড ওয়াটারও পলিউশন মুক্ত রাখতে পারবো না। এই বিষয়গুলো আমাদের ভাবনা ও কর্মপরিকল্পনায় ভবিষ্যতের জন্য রাখা খুবই প্রয়োজন।
চ্যানেল আই অনলাইন: সারফেস ওয়াটার কী প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছে?
হাসিন জাহান: সে কথাই বলছি। যেমন গাজীপুর শিল্প এলাকাতে দেখেছি সেখানে পানিতে লীড বা শীসার পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থাৎ শিল্প এলাকায় ওয়েস্টটাকে ঠিকমতো ডিসচার্জ না করার কারণেই এমনটি হচ্ছে। আরও একটা কথা বলবো পানিতে কিন্তু এখন বেশি নাইট্রেটের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। নাইট্রেট আসে ফার্টিলাইজারের বহুল ব্যবহার থেকে। দেখুন, আমাদের কৃষকদের মধ্যে বিবিধ কারণে ক্ষেত খামারে কিন্তু ওভার ফার্টিলাইজার ব্যবহারের একটা টেনডেন্সি তৈরি হয়েছে। আবার এও সত্য কেমিক্যাল ফার্টিলাইজারে সরকার অনেক বেশি ভর্তুকিও দেয়। বেশি ফার্টিলাইজার ব্যবহার করলেই যে বেশি উৎপাদন হবে তা সত্য নয়। কিন্তু বেশি ফার্টিলাইজার ব্যবহার হচ্ছে সর্বত্র। এতে আমরা দেখছি মাটির স্বাস্থ্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পানির স্বাস্থ্যও নষ্ট হচ্ছে। আমি মনে করি এখানে একটা ভারসাম্য আনার প্রয়োজন রয়েছে। মাল্টি সেক্টোরাল এপ্রোচের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতেই হবে। পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয়ে আমাদের মনোযোগ আনতে হবে। আমরা যখন বলি আর্সেনিক যুক্ত পানি খাবেন না, অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু ব্যবহৃত আর্সেনিক যুক্ত পানি যখন বের হয়ে আসে তখন তা অক্সিজেনের সাথে যৌগ তৈরি করে। এটা আবার পানিতে ফিরে যায়। এই যে পানিতে ফিরে যাচ্ছে- এতেও কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে সারফেস ওয়াটার কন্টামিন্টে হচ্ছে। আরও বলব পানির লবণাক্ততা নিয়ে। এটাও কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে। লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সেফ ড্রিংকিং ওয়াটারের জন্য অনেক স্ট্র্যাগল করছে। পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির সাথে ট্রান্সবাউন্ডারি রিভারের সম্পর্ক আছে। আবার পানি ওভার উত্তোলনের সম্পর্কও আছে। এখন উপকূলীয় অঞ্চলে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার সিস্টেম বা রিভার ওসমোসিস পদ্ধতি যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয় সেগুলোও কিন্তু রিভিউ করার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এখন টেকনোলজিগুলো সারভাইবাল এর জন্য ঠিক আছে কিন্তু সেই অর্থে ভবিষ্যত পরিবেশ বান্ধব নয়। এরকম আরও অনেক বিষয় আমাদের ভাবনাতে আনতে হবে।
চ্যানেল আই অনলাইন: সাতক্ষীরা, খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে আমরা দেখছি মানুষ নিরাপদ পানির জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করছে
হাসিন জাহান: আসলে শুধু যে কোস্টাল বেল্টের মানুষ নিরাপদ পানির জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করছে তা কিন্তু নয়। অনেক জায়গা বা অঞ্চলে হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে অ্যাভারেজ ফিগার বা ডাটা কিন্তু পরিপূর্ণভাবে কোনোকিছুর করুণ চিত্র প্রদর্শন করে না। পানির ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। আমরা সার্বিকভাবে দেখতে পাচ্ছি পানি সবাই পাচ্ছে। কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলের চিত্রটা আসলেই ভিন্ন। দেখুন, আমরা ঢাকা শহরে যে দামে পানি খাই তার চেয়ে বিশ গুণ বেশি দামে উপকূলের মানুষ পানি খাচ্ছে। খাবার পানির পেছনে তাদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের জীবিকার অন্যান্য জায়গাগুলো বিপন্ন হচ্ছে। শুধু উপকূলীয় অঞ্চল বলে নয়। পাহাড় অঞ্চলের দিকে তাকান। গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি পাহাড়ে নিরাপদ পানির যে উৎস- যেমন ঝর্ণা বা ছড়া সেগুলো কিন্তু শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্যে যেতে হচ্ছে অনেক দূরে। একইভাবে বরেন্দ্র এলাকাতেও কিন্তু ডিপ টিউবওয়েলের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে ড্রিংকিং ওয়াটার-এর সাধারণ উৎস বিপন্ন হচ্ছে। সেখানেও নানা ক্রাইসস তৈরি হচ্ছে। ওয়াটার রির্সোর্সেস গ্রুপ (ডাব্লিউআরজি)র যে রিপোর্ট সেখানে বলা হচ্ছে ২০৩০ নাগাদ দেশের ২১% এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে ওয়াটার স্ট্রেচ তৈরি হবে। শুধু এই নয়, এই রিপোর্টে আরও একটা তথ্য আছে যে সারাদেশে অনেক জায়গাতেই ২ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত স্তর লিটার নেমে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের এখনই উচিত হবে যে সংকটাপন্ন এলাকগুলো এখনই চিহ্নিত করা এবং সেখানে পানি উত্তোলন বন্ধ করা। অথবা রেশনিং পদ্ধতি অনুসরণ করে বিকল্প পন্থা বের করা।
চ্যানেল আই অনলাইন: পানি দিবসের শ্লোগান ছিল ‘ভূ গর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ দৃশ্যমান প্রভাব’ এখানে মূল বক্তব্যটা আসলে কী?
হাসিন জাহান: আসলে ভূগর্ভস্থ পানি দেখা যায় না। এ কারণে আমরা জানিনা আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির মজুত বা পরিমাণ কত বা তার গুণগত মানই বা কী রকম। এসব আমরা কিছুই জানি না। কিন্তু দেখুন আমাদের কাছে কতটুকু প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে সেটা আমরা জানি। সেভাবেই কিন্তু গ্যাস ব্যবহারের প্ল্যান, স্ট্র্যাটেজি করা হয়। আমি মনে করি আমাদের জন্য এখন যেটা দরকার সেটা হলো গ্রাউন্ড ওয়াটারের একটা ম্যাপিং করা। ম্যাপিং করে পানি প্রাপ্তির বিষয়টি প্রায়োরিটি করতে হবে। চাহিদা অনুপাতে এই প্রাপ্তি নির্ধারণ করতে হবে। আমাকে আগে দেখতে হবে খাওয়ার পানি। এরপর শিল্প কারখানার পানি, কৃষি উৎপাদনের পানি-এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে। একই সাথে খাবার পানি, শিল্প, কৃষি সবক্ষেত্রে পানি ব্যবহারের একটা জাতীয় পর্যায়ের দিক নির্দেশনা থাকতে হবে।
চ্যানেল আই অনলাইন: ভূ গর্ভস্থ পানি কী কমে যাচ্ছে?
হাসিন জাহান: না কমে যাচ্ছে না। তবে আমরা অতি-উত্তোলন (ওভার এক্সট্র্যাট) করে তুলে ফেলছি। এখানে কিছু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। ভূ গর্ভস্থ পানির দুটো লেয়ার থাকে। উপরের লেয়ারটি হলো শ্যালো লেয়ার, যেখানে সহজেই পানি ঢুকে পড়ে। এরপর আছে ডিপলেয়ার। এই লেয়ারের পানি ভাল হয়। এই লেয়ার সহজে রিচার্জ হয় না। বৃষ্টির পানি কিন্তু এই লেয়ারে যেতে পারে না। আমি যদি ডিপলেয়ার থেকে বেশি বেশি পানি তুলি এটা কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। কেননা এই লেয়ারে নেচারাল পদ্ধতিতে রিচার্জ হতে কয়েকশ বছর লাগে। ফলে আমরা এই লেয়ারটাকে বিভিন্ন ব্যবহার ও দুষণের মাধ্যমে বিপন্ন করে তুলছি। দেখুন, বর্তমানে ভুগর্ভস্থ পানি বেশি ব্যবহার হয় এগ্রিকালচারাল ইরিগেশনে। মোট উত্তোলিত পানির সত্তুর ভাগেরও বেশি ব্যবহার করা হয় কৃষি খাতে। ১৩ শতাংশ ব্যবহার করা হয় শিল্পখাতে। বাদবাকি খাবার বা অন্যান্য কাজে ব্যবহ্নত হয়। বিপদটা হচ্ছে আমরা যে পানি তুলছি সেটা কিন্তু রিচার্জ হচ্ছে না। এ কারণে কৃষির সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে হবে।
চ্যানেল আই অনলাইন: নিরাপদ পানি বেশির ভাগ মানুষ পাচ্ছে না- এমন একটা কথা সবসময় শোনা যায়।
হাসিন জাহান: এর কারণ হলো আর্সেনিক, লবণাক্ততা। একই সাথে অনেক ধরনের কন্টামিনেন্ট তো আছেই। এছাড়া মাইক্রোবিয়াল-কন্টামিনেশনও আছে। এসব কারণে একেবারেই নিরাপদ পানি খাচ্ছে এরকম মানুষের সংখ্যা কম। খাবার পানি নিশ্চিত করার জন্যই আমাদের গ্রাউন্ড ওয়াটার সেফ রাখতে হবে।
চ্যানেল আই অনলাইন: শিল্প কলকারখানাতেও পানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে
হাসিন জাহান: হ্যাঁ, এটা আমরা সবাই এখন জানি। শিল্প কলকারখানা বাড়ছে। পানির চাহিদাও বাড়ছে। আমরা এ কারণেই শিল্প কলকারখানাতে ভুগর্ভস্থ পানির বিকল্প ব্যবহারে উদ্ধুব্ধ করছি। অ্যাপারেল সেক্টরে ওয়াশিং, ফ্লোর ক্লিনিং- এর জন্য অনেক পানি লাগে। আমরা বলছি সব ইন্ডাষ্ট্রিতে বড় ছাদ থাকে। এই ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি ধরে ওয়াশিং এবং ডে টু ডে’র কাজে লাগানো গেলে তাতে তাদের অনেক সাশ্রয় হবে। কেননা মাটি থেকে সরাসরি তোলা পানি দিয়ে ডাইং করা যায় না।
চ্যানেল আই অনলাইন: পানির অপচয়ের সংস্কৃতি থেকে আমরা কী বের হতে পেরেছি?
হাসিন জাহান: না আমরা বের হতে পারিনি। এখনও আমরা সমানে অপচয় করি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে বললেও হবে না। রাজধানীতে এখন ছাদকৃষি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাদকৃষিতে প্রচুর পানি লাগে। আমরাতো আমাদের ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিই এখানে ব্যবহার করছি। আবার গাড়ি ধোয়ার ক্ষেত্রেও পানির ব্যবহার বেড়েছে। এরকম আরও অনেকক্ষেত্র রয়েছে। যেখানে পানির অপব্যবহার হচ্ছে।
চ্যানেল আই অনলাইন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের জন্য পানির চাহিদা কী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে?
হাসিন জাহান: এ জন্য আসলে অনেক কাজ করার প্রয়োজন আছে। এখানে প্রথমেই প্রয়োজন ইন্টারমিনিস্ট্রিয়াল কোলাবোরেশন মিটিং। দেখুন, এখন পানি আইন এবং পানি নীতি-২০১৮ যেটা রয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটি করতে না পারলে কিছুই অর্জন করা সম্ভব হবে না। সামনে আরও ঝঁকি বাড়বে। এ ছাড়া আমাদের গ্রাউন্ড ওয়াটারের ম্যাপিং ও মনিটরিং করতে হবে। একই সাথে আমাদের সবাইকে পানি ব্যবহারে অত্যধিক সচতেন হতে হবে। কোনোভাবেই পানির অপচয় করা চলবে না।
চ্যানেল আই অনলাইন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হাসিন জাহান: আপনাকেও ধন্যবাদ।