চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমাদেরকে কত কিছু দিচ্ছে আমাদের ক্রিকেট

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রে যখন আমরা দ্বিধাবিভক্ত তখন একমাত্র ক্রিকেট আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিতলে ঢাকার রাস্তায় গভীর রাতেও মিছিল বের হওয়ার খবর অনেক পুরনো। আর এই দল হারলে খেলা না বুঝা মানুষের চোখেও ঝরে অশ্রু। যে অশ্রুর স্রোতে ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই থাকে না। দর্শকের এই ভালোবাসার জোরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পর ভারত, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ অনায়াসে হার মেনেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বরে এখন টাইগাররা। এই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড এবং শ্রীলংকা সফরের সময় টিভির পর্দায় বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির বিষয়টিও লক্ষ্য করা গেছে। আইরিশদের দেশে হওয়া সিরিজের নাম ছিল ‘ওয়ালটন ট্রাই-নেশনস সিরিজ’। শুধু তাই নয়, ওই সিরিজে মাঠের পাশে যে বোর্ডগুলো চোখে পড়েছে তার দখল নিয়েছিল বাংলাদেশের ইস্পাহানী চা, হাতিল, বিবিএস কেবলস, গাজী টায়ারস, সিটি ব্যাংক, ফ্রুটো এবং পোলারের মতো প্রতিষ্ঠান। মাঠের ইনস্টেডিয়া রাইটসও ছিলো বাংলাদেশের টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের। এর আগে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের নাম ছিল ‘জয়বাংলা কাপ’। সেখানেও শ্রীলঙ্কার বোর্ডের কাছ থেকে সিরিজটির স্বত্ব কিনে নেয় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অ্যাডটাচ স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ ইভেন্টস। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের ক্রিকেট অর্থনীতির জন্য গৌরবের বলেই আমরা মনে করি। ক্রিকেটে অর্থের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও নানা কারণে বাংলাদেশের বাজার অতীতে অতোটা বিকশিত হয়নি। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। এরপরও শুধু দেশে খেলা হলে স্পন্সরদের ‘মধুর যন্ত্রণা’ সামলাতে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে হিমশিম খেতে হতো। বিদেশি সিরিজগুলোতে এই অবস্থা আগে ছিল না, যেমনটা সম্প্রতি শুরু হয়েছে। এখন ক্রিকেটের এমন জোয়ার দেখে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসছে বলে আমরা মনে করি। আর তাদের এগিয়ে আসার মাধ্যমে লাল-সবুজের জার্সি ছাড়াও দরিদ্র দেশের তকমার বদলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে নতুনভাবে পরিচিতি পাওয়ার এই বিষয়টি আমাদের জন্য অনেক গর্বের। বহির্বিশ্বে দেশের ইমেজ বৃদ্ধি এবং ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে দেশীয় আরো অনেক বহুজাতিক কোম্পানি এগিয়ে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।