আঙুলের চোটে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবের খেলা হচ্ছে না। টেস্টের মত টি-টুয়েন্টিতেও নেতৃত্বের আর্মব্যান্ডটা মাহমুদউল্লাহর ওপর। নতুন দায়িত্ব, বাড়তি চ্যালেঞ্জ। সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডেতে বিপর্যয়ের টাটকা স্মৃতি সঙ্গী হবে। তবে অতকিছু ভাবতে চান না টাইগার নেতা। জানালেন, ঘুরে দাঁড়াবে নিজেদের মাটিতে সবসময়ই এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার হোম অব ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টি-টুয়েন্টির সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামবে টাইগাররা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বুধবার মাহমুদউল্লাহ কথা বললেন হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্ব, দলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ও একঝাঁক নবীন তারকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে।
হঠাৎ করে টি-টুয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে অবশ্য বেশিকিছু ভাবছেন না মাহমুদউল্লাহ। অল্প কথায় বুঝিয়ে দিলেন চ্যালেঞ্জের জন্য সদা প্রস্তুত তিনি, ‘দায়িত্বটা ভাল করে পালনের চেষ্টা করবো। শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো।’
নেতৃত্ব নিয়ে বেশিকিছু না বললেও দল নিয়ে বিস্তর বলতে-ভাবতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে। তাতে একটু শঙ্কার কথাও থাকল। সাকিব নেই, তামিম এবং মুশফিককে নিয়েও যে থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়। হালকা চোটে থাকা দুই নির্ভরযোগ্য সদস্যকে পাওয়ার জন্য দল সাজানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষার করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তামিমের পিঠের পেশিতে, মুশফিকের কব্জিতে চোটের সমস্যায়।
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য যাকে পাওয়া যাবে তাকে নিয়েই লড়াই এগিয়ে নিতে প্রত্যয়ী। দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আধাডজন নতুন সদস্যকে। যাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচেই নামার অভিজ্ঞতা নেই। তবে তাদের সামর্থ্যে পুরোপুরি আস্থা আছে টাইগার অধিনায়কের।
‘সবাই ওয়েল ডিজার্ভিং। বিপিএলে বড় ক্রিকেটারের মতো পারফর্ম করেছে। প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন সেই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারে।’
ঘরের মাঠে খেললে সবসময়ই বাড়তি একটা প্রত্যাশার চাপ ছায়া হয় বাংলাদেশ দলের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেটিকেই শক্তি মনে করছেন। ওয়ানডে ও টেস্টে ওরকম হারের পরও তাই নিজেদেরই ফেভারিট বলছেন অধিনায়ক। কারণ, খেলাটা নিজেদের মাটিতে বলেই।
‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি যেকোনো ফরম্যাটেই নিজেদের মাটিতে আমরা এগিয়ে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে হয়নি। আশা করি টি-টুয়েন্টিতে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। এবং খুব ভালভাবেই ঘুরে দাঁড়াব।’