সদ্য প্রয়াত গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, নাট্যকার ও লেখক আমজাদ হোসেনের প্রয়াণে তাকে স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলায় শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৮’-এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
৭০টি সিনেমা নিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় ৮ ডিসেম্বর একযোগে শুরু হয় ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৮’। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। চলচ্চিত্রের এমন বিশাল আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সদ্য প্রয়াত নির্মাতা আমজাদ হোসেন ও সিনেমাটোগ্রাফার আনোয়ার হোসেনের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে।
মূল আলোচনা শুরুর আগে বাংলা চলচ্চিত্রে আনোয়ার হোসেন ও আমজাদ হোসেনের অবদান নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির উপস্থাপনায় চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী, বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে আছেন নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড.ফাহমিদুল হক। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আছেন শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এবারের উৎসবে ৪৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২২টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ৭০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরষ্কার প্রদান করা হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরষ্কারের অর্থমূল্য থাকবে ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরষ্কার ২৫ হাজার টাকা।